Supreme Court of India

বিবাহিতার সঙ্গে সম্মতিসূচক সম্পর্ক ধর্ষণ নয়, ভুয়ো প্রতিশ্রুতির অভিযোগ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

মামলাটি ২০২০ সালের। মধ্যপ্রদেশের সাতনা মহিলা থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন এক মহিলা। তিনি অভিযুক্তের চেয়ে বয়সে দশ বছরের বড়।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৪ ০৬:৩৪
supreme court

সুপ্রিম কোর্ট। — ফাইল চিত্র।

বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্মতিসূচক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্ষণের অভিযোগ টেকে না বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের রায় খারিজ করে বিচারপতি সিটি রবিকুমার এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ এক ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে। সু্প্রিম কোর্ট বলেছে, সম্পর্কে থাকাকালীনই তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল বলে মহিলা প্রমাণ করতে পারেননি। সে ক্ষেত্রে বিয়ের ভুয়ো প্রতিশ্রুতির প্রশ্ন উঠছে না।

Advertisement

মামলাটি ২০২০ সালের। মধ্যপ্রদেশের সাতনা মহিলা থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন এক মহিলা। তিনি অভিযুক্তের চেয়ে বয়সে দশ বছরের বড়। তাঁর বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন অভিযুক্ত। মহিলার সঙ্গে থাকতেন তাঁর মেয়ে এবং মা-বাবা। ২০১৭ সাল থেকে দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের সূত্রপাত। ২০১৯-এর জানুয়ারিতে মন্দিরে গিয়ে দু’জনে ঘরোয়া ভাবে বিয়েও করেন। তার পর থেকে একসঙ্গেই থাকছিলেন তাঁরা। বিরোধের সূত্রপাত ২০২০-তে। অভিযোগ, মহিলা সরকারি ভাবে বিয়ে করতে চাইলে লোকটি বেঁকে বসেন। তার পরেই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা।

সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, মহিলা এফআইআর-এ দাবি করেছিলেন ২০১৮-র ডিসেম্বরে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নথিতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে ২০২১-এর জানুয়ারিতে। অর্থাৎ বিবাহিত অবস্থাতেই তিনি সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। বিচারপতি বিন্দল রায়ে লিখেছেন, ‘‘মহিলা নাবালিকা নন যে, নিজের ভালমন্দ বোঝার ক্ষমতা তাঁর ছিল না বা কোন কাজের কী পরিণতি হতে পারে সেটা তিনি জানতেন না। তিনি যা করেছেন জেনেবুঝে করেছেন, বস্তুত নিজের স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।’’ উল্টো দিকে, সম্পর্ক শুরুর সময় অভিযুক্ত বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এমন প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছে আদালত। বরং ২০১৮ সালে ওই ব্যক্তি কাজের জন্য মহারাষ্ট্রে চলে যান। তার পর থেকে তিনি মাঝে মাঝে আসতেন এবং স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকতেন। একটা বিমা করিয়ে মহিলাকে নমিনি করেছিলেন, এক লক্ষ টাকা ধারও দিয়েছিলেন একবার, যা ফেরত পাননি। সব দিক খতিয়ে দেখেই শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের রায় খারিজ করেছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলাও খারিজ করে দিয়েছে। গত বছর একই ধরনের একটি মামলা— নইম আহমেদ বনাম দিল্লি সরকার মামলাতেও শীর্ষ আদালত একই রায় দিয়েছিল।

আরও পড়ুন
Advertisement