Pushpa 2 Stampede Case

পুষ্পা ২: লাঠিচার্জের ফলে হুড়োহুড়ি? পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

‘পুষ্পা ২’ সিনেমার প্রিমিয়ারের সময় হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। ওই ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এই আবহে পদক্ষেপ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪৬
(বাঁ দিকে) অল্লু অর্জুন এবং ৪ ডিসেম্বর ‘পুষ্পা ২’ প্রিমিয়ারের সময়ে হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারের সামনের দৃশ্য (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) অল্লু অর্জুন এবং ৪ ডিসেম্বর ‘পুষ্পা ২’ প্রিমিয়ারের সময়ে হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারের সামনের দৃশ্য (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

‘পুষ্পা ২’ সিনেমার প্রিমিয়ারে পদপিষ্টের ঘটনায় তেলঙ্গানা পুলিশের ডিজি এবং হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনারের থেকে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে অল্লু অর্জুন অভিনীত ওই সিনেমার প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। সে দিন ঠিক কী ঘটেছিল, তা পুলিশের থেকে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে কমিশন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

সন্ধ্যা থিয়েটারে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন এক আইনজীবী। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই পুলিশের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। আইনজীবীর বক্তব্য, সে দিন পুলিশের লাঠিচার্জের কারণে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে। যার ফলে পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে কমিশনকে জানান তিনি। পাশাপাশি অল্লু প্রেক্ষাগৃহে পৌঁছনোর পর সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনাও পর্যাপ্ত ছিল না বলে অভিযোগ তাঁর।

৪ ডিসেম্বর পদপিষ্টের ঘটনার পর থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে মানুষের মনে। এই ধরনের ‘হাই-প্রোফাইল’ অনুষ্ঠানে পুলিশের আচরণ এবং ভিড় সামাল দেওয়ার ধরন দেখে অসন্তোষও তৈরি হয়েছে একাংশের জনতার মধ্যে। এই আবহে হায়দরাবাদে অল্লু অভিনীত সিনেমার প্রিমিয়ারে পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে পদক্ষেপ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

গত ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটার প্রেক্ষাগৃহে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ারে দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাত ৮টা নাগাদ অভিনেতা ছবির প্রিমিয়ারে পৌঁছতেই উপচে পড়ে ভিড়। সেখানে ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩৫ বছর বয়সি এক মহিলার। গুরুতর জখম হয় তাঁর ন’বছর বয়সি সন্তানও। ওই ঘটনার পরেই গ্রেফতার হন অভিনেতা। নিম্ন আদালত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। পরে অবশ্য তেলঙ্গানা হাই কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান অভিনেতা।

সে দিনের ঘটনায় অভিনেতার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বর্তমানে জামিনে মুক্ত হলেও মাঝে একাধিক বার পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হয়েছে অল্লুকে। তবে শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, ঘটনার পর দিন থেকেই তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন অল্লু। ওই পরিবারকে দু’কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন