COVID-19

করোনার আরও এক নয়া উপরূপ নিয়ে শঙ্কা! ‘ক্র্যাকেন’ হানায় ভারতে সংক্রমিত আরও এক জন

আমেরিকায় সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী করোনার প্রজাতি ওমিক্রনের উপশাখা এক্সবিবি ১.৫ বা ক্র্যাকেন ভ্যারিয়েন্ট। ভারতে এ নিয়ে মোট আট জনের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:১৭
বর্তমানে দেশে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।

বর্তমানে দেশে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। প্রতীকী ছবি।

চিন জুড়ে করোনার নতুন উপরূপ বিএফ.৭-এর দাপট থাকলেও ভারতে এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে কোভিড সংক্রমণ। তবে করোনার এই উপরূপের পাশাপাশি আরও একটি উপরূপ চিন্তায় বাড়িয়েছে। ওমিক্রনের উপশাখা এক্সবিবি ১.৫ বা ক্র্যাকেন ভ্যারিয়েন্টের কারণে আমেরিকায় সংক্রমণ বাড়ছে। করোনার এই উপরূপে আক্রান্ত আরও ১ জনের হদিস পাওয়া গেল ভারতে।

এ নিয়ে ভারতে ৮ জনের শরীরে ওমিক্রনের উপশাখা এক্সবিবি ১.৫-এর সন্ধান পাওয়া গেল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডে ওমিক্রনের উপশাখা এক্সবিবি ১.৫-তে সংক্রমিত ১ জনের হদিশ মিলেছে। এর আগে এই উপরূপে সংক্রমিত হয়েছিলেন গুজরাতের ৩ জন। পাশাপাশি এই উপরূপের হদিস পাওয়া গিয়েছিল কর্নাটক, তেলঙ্গানা, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ে। ওই ৪ রাজ্যে ১ জন করে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়ে গিয়েছে।

Advertisement

২০২২ সালে করোনার এই উপরূপের প্রথম হদিস পাওয়া গিয়েছিল আমেরিকায়। এর পর থেকেই দ্রুত গতিতে ছড়িয়েছে সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সূত্রে খবর, বর্তমানে আমেরিকা ছাড়াও আরও বিভিন্ন দেশে এই উপরূপের কারণে সংক্রমণ ঘটছে। আমেরিকায় ‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে আমেরিকায় করোনা সংক্রমণের ১ শতাংশ ছিল এই উপরূপের কারণে। বর্তমানে এই হার ৪১ শতাংশ। অর্থাৎ, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে করোনার এই উপরূপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে ‘ক্র্যাকেন’কে ‘অত্যন্ত সংক্রামক উপরূপ’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

যদিও বর্তমানে ভারতে কোভিড পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গিয়েছে, সোমবার দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৭০ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৮০ শতাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement