গোয়ায় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাফিসা। ছবি : টুইটার থেকে।
গোয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শুক্রবার তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিনেত্রী নাফিসা আলি। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনও।
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে নাফিসা বলেন, ‘‘আমি বরাবরই কংগ্রেসের ভাবাদর্শে বিশ্বাসী। কিন্তু আজ দেশ এবং জাতি যখন বিজেপি-র বিদেভকামী রাজনীতির বিপদের মুখে তখন আমার কাছে প্রশ্ন, নেহেরুর জমানার কংগ্রেস, ইন্দিরার কংগ্রেস না কি মমতার তৃণমূল কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে লড়তে পারবে। মমতা ইতিমধ্যেই তাঁর একার শক্তিতে বাঘিনির মতো লড়ে সাফল্য ছিনিয়ে এনেছেন। তৃণমূলে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত।’’
জাতীয় স্তরের সাঁতারু তথা প্রাক্তন ভারতসুন্দরী (মিস ইন্ডিয়া) নাফিসা ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মমতার বিরুদ্ধে লড়ে হেরেছিলেন। প্রথম ইউপিএ সরকারের আমলে ‘চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া’-র চেয়ারপার্সন পদেও নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এর পর ২০০৯ সালে দল বদলে তিনি উত্তরপ্রদেশের লখনউ কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী হন। কিন্তু সেখানেও জিততে পারেননি।
We are elated to share that Nafisa Ali and Mrinalini Deshprabhu have joined the Goa Trinamool Congress family today in the presence of our Hon'ble Chairperson @MamataOfficial.
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) October 29, 2021
We wholeheartedly welcome both leaders! pic.twitter.com/W5eAlKpmR2
২০০৯ সালের শেষে ফের কংগ্রেসে ফেরেন নাফিসা। কিন্তু গত কয়েক বছর সে ভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি তাঁকে। তৃণমূলের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে গোয়ায় আসন্ন বিধানসভা ভোটে দলের তরফে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন নাফিসা। লড়তে পারেন ভোটেও।
কলকাতাতেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা নাফিসার। লা মার্টিনিয়ার স্কুল থেকে পড়াশুনো করেই কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা তাঁর। অনেক বছর কলকাতায় না থাকলেও, নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন বাংলা ও তার রাজনীতির। সম্প্রতি ভবানীপুরের উপনির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে মমতার জয়ের পর তাঁকে ‘বেঙ্গল টাইগ্রেস’ বলে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি।