Karnataka Election

আমার বাবারই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত, কর্নাটকে কংগ্রেসের জয়ের পথে দাবি সিদ্দারামাইয়া-পুত্রের

শনিবার ভোটের ফল প্রকাশের পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া পুত্র নিজের বাবার হয়ে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি পেশ করে রাখলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৩ ১৫:০৮
Image of Siddaramaia and Yathindra Siddaramaiah.

সিদ্দারামাইয়া-পুত্র ওয়াই. সিদ্দারামাইয়া বলেন, 'আমার বাবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত'। ছবি: সংগৃহীত।

কর্নাটকের ফলাফল স্পষ্ট হতেই মুখ্যমন্ত্রী পদে কে বসবেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। শনিবার ফলপ্রকাশের পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া-পুত্র নিজের বাবার হয়ে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি পেশ করে রাখলেন। দল ও পিতার জয়ের নিশ্চিত ইঙ্গিত পেয়েই সিদ্দারামাইয়া-পুত্র ওয়াই. সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘‘আমরা সরকার গড়ার জন্য কর্নাটকের জনতার পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি। আমরা একক ক্ষমতাতেই রাজ্যে সরকার গঠন করব।’’

এর সঙ্গেই তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সবই আমরা করব। এ ক্ষেত্রে আমার বাবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত।’’ বরুণা আসন এ বার বাবা সিদ্দারামাইয়ার জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন পুত্র। ২০১৩ সালে এই কেন্দ্র থেকে জিতেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। ২০২৩ সালে আবারও সেই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন তিনি। আর ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়ে ৭৫ বছরের পিতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাতে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন পুত্র। ২০১৮ সালে বরুণা বিধানসভাটি ছেলেকে ছেড়ে দু’টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। চামুণ্ডেশ্বরী আসন থেকে হেরে গেলেও, বাদামি থেকে জিতেছিলেন সিদ্দারামাইয়া। কিন্তু সে বার কংগ্রেস নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রীর আসন জোটের স্বার্থে জেডি (এস) নেতা কুমারস্বামীকে ছেড়ে দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি তিনি। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন।

Advertisement

উল্লেখ্য, কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদার মূলত কংগ্রেসের দু’জন নেতা। প্রথম জন সিদ্দারামাইয়া, দ্বিতীয় জন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার। এই দুই নেতার দ্বন্দ্ব কর্নাটক কংগ্রেসে সর্বজনবিদিত। যদিও ভোটের সময় তাঁদের দ্বন্দ্ব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল। এ নিয়ে অহেতুক বিতর্কে লাভ নেই। মুখে সিদ্দারামাইয়া যা-ই বলুন না কেন, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে এই দুই শিবিরের লড়াই এআইসিসি নেতৃত্বের বড় মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

কারণ সিদ্দারামাইয়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি, কর্নাটকের রাজনীতিতে অভিজ্ঞ। শিবকুমার আবার এআইসিসি নেতা কেসি বেণুগোপালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নেতা। স্বাভাবিক কারণেই এআইসিসিতে শিবকুমারের গ্রহণযোগ্যতাও অনেকটাই বেশি। তবে এমন জনাদেশের পর কংগ্রেস হাইকমান্ড কী সিদ্ধান্ত নেন, সে দিকেই তাকিয়ে জাতীয় রাজনীতির কারবারিরা। কারণ গত বারের মতো এ বার আর সরকার গড়তে কংগ্রেসকে জেডি (এস)-র মুখাপেক্ষী হতে হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement