মনোজ সাহানি (বাঁ দিকে), সরস্বতী বৈদ্য (ডান দিকে)। ভাড়ার সেই ফ্ল্যাট (মাঝে)। —ফাইল চিত্র।
দেহ কত দিনে পচন ধরে, কত দিনে গন্ধ বেরোয়, গুগ্লে ‘সার্চ’ করেছিলেন মুম্বইয়ে লিভ ইন সঙ্গী খুনে অভিযুক্ত। তদন্তের পর এমনই দাবি করেছে পুলিশ।
সংবাদপত্র মিড ডে-কে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “আমরা অভিযুক্তের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করার পর জানতে পারি, বেশ কিছু বিষয় ইন্টারনেটে সার্চ করেছিলেন তিনি। সেই সার্চ তালিকায় ছিল, কত দিনের মধ্যে দেহে পচন ধরে, কত দিনের মধ্যে গন্ধ বেরোয়।” যদিও অভিযুক্ত মনোজ সানে বার বারই পুলিশের কাছে দাবি করছেন, তিনি লিভ ইন সঙ্গী সরস্বতী বৈদ্যকে খুন করেননি। সরস্বতী আত্মঘাতী হয়েছেন।
মনোজের দাবি কতটা সত্য তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। মিড ডে-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরস্বতীর দেহের ১০ শতাংশ গায়েব। সেই দেহাংশ কোথায় মনোজকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
গত ৪ জুন লিভ ইন সঙ্গী সরস্বতীকে মনোজ খুন করেন বলে অভিযোগ। তার পর তাঁর দেহ টুকরো করে কাটেন। অভিযোগ, দেহাংশগুলি লোপাট করার জন্য প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করেন। দিন কয়েক আগেই সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর মনোজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে লিভ ইন সঙ্গীর দেহাংশ উদ্ধার হয়।