৩৬৫ পদের খাবার ও জামাই। ছবি— সংগৃহীত।
জামাই আদর কি একেই বলে! সংক্রান্তি উপলক্ষে হবু জামাইয়ের নিমন্ত্রণ ছিল ভাবি শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তু জামাই বাবাজি ভাবতেও পারেননি কী অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য। হবু শ্বশুরবাড়িতে খাবার টেবিলের দিকে তাকিয়েই চক্ষু চড়কগাছ জামাইয়ের! টেবিলে থরে থরে সাজানো মোট ৩৬৫ পদ! চোখ কপালে তোলা ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলায়।
সংক্রান্তির দিন জামাইকে ভোজ দেওয়া তেলুগু সংস্কৃতির অঙ্গ। সেই মতো হবু জামাই সাইকৃষ্ণকে দুপুরে খেতে ডেকেছিলেন ভেঙ্কটেশ্বরা রাও ও মাধবী। হবু শাশুড়ির শখ ছিল জামাইকে ‘ভুরিভোজ’ দেবেন। সেই মতো হয়েছিল যোগাড়যন্ত্র। খাবার টেবিলে বসে হবু জামাই সাইকৃষ্ণের তো মাথায় হাত! টেবিল, মায় গোটা ঘর জুড়েই কেবল খাবার আর খাবার! গুনে দেখলে মোট ৩৬৫ খানা পদ।
হবু শাশুড়ি মাধবী জানিয়েছেন, যাতে জামাইয়ের বছরের প্রতিটি দিন ভাল যায় সে জন্যই ৩৬৫টি পদের আয়োজন করা হয়েছিল। খাবারের তালিকায় ছিল ৩০ ধরনের তরকারি, ভাত, বিরিয়ানি, পুলিহরা, আধুনিক ও পুরাতন মিলিয়ে ১০০ রকমের মিষ্টান্ন, ১৫ রকমের আইসক্রিম, পেস্ট্রি, কেক, ঠান্ডা ও গরম পানীয়, ফল।
এ হেন মহাভোজের পরই সাইকৃষ্ণের সঙ্গে কুণ্ডাভির বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন হয়। আপাতত তাঁরা সুখী দম্পতি।