Delhi Incident

এক সপ্তাহ পর খাল থেকে পুলিশকর্তার ছেলের দেহ উদ্ধার, খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার

গত ২২ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন দিল্লি পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার যশপাল সিংহের পুত্র লক্ষ্য। তিন দিন কেটে যাওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন যশপাল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৩৫
Missing Body of Delhi Polics Son Found in Haryana Canal

লক্ষ্য চৌহন। — ফাইল চিত্র।

দিল্লি পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসারের ছেলে লক্ষ্য চৌহনের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার হরিয়ানার সমলখা এলাকার একটি খাল থেকে সেই দেহ উদ্ধার করা হয়। লক্ষ্য চৌহনকে খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই খুনের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল দুই।

Advertisement

গত ২২ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন দিল্লি পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার যশপাল সিংহের ছেলে লক্ষ্য। বন্ধুদের সঙ্গে হরিয়ানাতে বিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন বলে বাড়িতে জানিয়েছিলেন। দু’দিন পরই ফিরে আসবেন বলেছিলেন। কিন্তু তিন দিন কেটে যাওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন লক্ষ্যের বাবা যশপাল।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, তিস হাজারি আদালতের আইনজীবী লক্ষ্য তাঁর দুই বন্ধু বিকাশ ভরদ্বাজ এবং অভিষেকের সঙ্গে সোনিপতে গিয়েছিলেন একটি বিয়ে বাড়িতে যোগ দিতে। পুলিশ অভিষেককে গ্রেফতার করে। তাঁকে জেরা করেই উঠে আসে খুনের তথ্য। জেরায় অভিষেক স্বীকার করেন, মুনাক খালে লক্ষ্যকে পিছন থেকে ধাক্কা মেরে জলে ফেলে দেন বিকাশ।

পুলিশ আরও জানতে পারে, লক্ষ্য চৌহনের সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরেই আর্থিক কারণে ঝামেলা চলছিল বিকাশের। বিকাশের থেকে লক্ষ্য অনেক দিন আগে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা শোধ না করায় লক্ষ্যের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয় বিকাশের। তবে সোনিপতের বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য বিকাশই, বলেছিলেন লক্ষ্যকে। সেই মতোই তিন বন্ধু মিলে গাড়ি করে দিল্লি থেকে রওনা দিয়েছিলেন হরিয়ানায়।

বিয়ে বাড়ি সেরে ফেরার পথে মুনাক খালের কাছে শৌচকর্ম করার জন্য গাড়ি থেকে নামেন তিন বন্ধু। আচমকাই বিকাশ, লক্ষ্যকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন খালের জলে। তার পর গাড়ি করে পালিয়ে যান অভিষেক এবং বিকাশ। মাঝ রাস্তায় তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে চলে যান বিকাশ, জেরায় এমনই দাবি করেন অভিষেক। তার পর থেকে বিকাশের খোঁজ শুরু করে পুলিশ।

অবশেষে রবিবার তল্লাশি অভিযানের পর লক্ষ্যের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিকাশকে গ্রেফতার করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় দুই ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ।

Advertisement
আরও পড়ুন