Mumbai BMW Crash

বিএমডব্লিউকাণ্ড: গ্রেফতারি এড়াতে দাড়ি কামিয়ে নেন শিন্ডেসেনা নেতার পুত্র, কী কী করেছিলেন বাঁচতে?

পুলিশের চোখ এড়িয়ে টানা তিন দিন লুকিয়ে ছিলেন তিনি। গ্রেফতারি এড়াতে দাড়িও কামিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি যে পানশালায় গিয়েছিলেন, তা বুলডোজ়ার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪ ১৪:১২
(বাঁ দিকে) দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। ছবি: পিটিআই। শিন্ডেসেনা নেতার পুত্র মিহির শাহ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

(বাঁ দিকে) দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। ছবি: পিটিআই। শিন্ডেসেনা নেতার পুত্র মিহির শাহ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

মুম্বইয়ের বিএমডব্লিউকাণ্ডে শিবসেনা (একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠী) নেতা রাজেশ শাহের পুত্র মিহির শাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিন দিন গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারি এড়াতে সব রকম চেষ্টা করেছিলেন মিহির। পুলিশের চোখ এড়াবেন বলে দাড়িও কামিয়ে ফেলেছিলেন, যাতে ঝট করে তাঁকে দেখে কেউ চিনতে না পারেন। কিন্তু তাঁর কোনও কৌশল কাজে লাগেনি। মুম্বই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার তাঁকে আদালতে হাজির করিয়ে হেফাজতে চাইবেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের মুখে মহিলাকে ধাক্কা মারার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মিহির। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, যে সময়ে তাঁর বিএমডব্লিউ স্কুটিতে ধাক্কা মারে, সে সময়ে তিনিই ছিলেন স্টিয়ারিংয়ে। এর পর চালকের সঙ্গে আসন বদলেও নিয়েছিলেন।

শনিবার রাতে জুহুর একটি পানশালায় গিয়েছিলেন মিহির। বন্ধুদের সঙ্গে বেশ কয়েক ঘণ্টা কাটান সেখানে। এর পর পানশালা থেকে ফেরার পথে মেরিন ড্রাইভে কিছু ক্ষণ ঘুরতে চেয়েছিলেন তিনি। সে সময়ে নিজে গাড়ি চালাবেন বলে বায়না করেন এবং চালকের হাত থেকে স্টিয়ারিং নিয়ে নেন। এর পরেই স্কুটিতে ধাক্কা মারে বিএমডব্লিউ গাড়ি। মহিলা চাকার সঙ্গে আটকে গিয়েছিলেন। প্রায় দেড় কিলোমিটার তাঁকে সে ভাবেই হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর মহিলাকে দু’বার পিষে দেওয়া হয়।

জুহুর যে পানশালায় শনিবার সময় কাটিয়েছিলেন মিহির, সেই বার বুধবার সকালে বুলডোজ়ার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে পানশালায় বুলডোজ়ার অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযোগ, ওই পানশালা বেআইনি ভাবে তৈরি।

বিএমডব্লিউকাণ্ডের পর অভিযুক্ত মিহির তাঁর বাবাকে ঘটনার কথা ফোনে জানান। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাই বাড়ি না ফিরে চলে গিয়েছিলেন প্রেমিকার বাড়ি। সেখান থেকে ভিরারের একটি রিসর্টে আশ্রয় নেন। সেখানেই দাড়ি কামিয়েছিলেন বলে পুলিশের অনুমান। কারণ, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পানশালা থেকে বেরোনোর সময়ে তাঁর গালভর্তি দাড়ি ছিল। পুলিশ যখন তাঁকে গ্রেফতার করে, তখন মুখে কোনও দাড়ি ছিল না। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে মিহিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement