দিল্লির রিং রোডে বালির বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। যমুনার জলে প্লাবিত এই এলাকা। ছবি: পিটিআই।
প্লাবনের আশঙ্কার সঙ্গে দিল্লিতে এ বার সমস্যার নয়া দোসর পানীয় জলের সঙ্কট। যমুনার জলে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে ইতিমধ্যেই। খোদ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে যমুনার জল। বন্যার আশঙ্কায় যখন ত্রস্ত রাজধানীবাসী, আরও একটি খবর তাঁদের চিন্তা বহু গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল ঘোষণা করেন, দিল্লির বেশ কিছু এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিতে পারে। কারণ যমুনার জল বাড়তে থাকায় ওয়াজ়িরাবাদ, চন্দ্রওয়াল এবং ওখলা জল পরিশোধনাগার কেন্দ্রগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর তার কারণে রাজধানীর বহু এলাকা আপাতত জলসঙ্কটের মুখে পড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীতে যমুনা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বৃহস্পতিবার নদীতে জল বেড়ে ২০৮.৪৮ মিটার হয়েছে। ফলে আরও বহু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনিক কর্তারা মনে করছেন, বিকেলের মধ্যে জলস্তর আরও বাড়বে, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। বুধবারই যমুনার জলস্তর ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। বৃহস্পতিবারের ছবিটাও একই রকম। জল কমার কোনও লক্ষণ দেখতে পাচ্ছে না প্রশাসন। যমুনার কাছাকাছি এলাকাগুলি আগেই প্লাবিত হয়েছে। বুধবার থেকে শহরের ভিতরে জল ঢুকতে শুরু করে।
যমুনার জলস্তর যে ভাবে বাড়ছিল সেই পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে কেজরীওয়াল আগেই টুইট করে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন যে, নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব নিচু এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দারা যেন সরে যান। শুধু তাই-ই নয়, এই সময় যমুনার কাছাকাছি এলাকায় সাধারণ মানুষকে যেতে নিষেধও করেছিলেন তিনি।
গত কয়েক দিন ধরে হাতিকুণ্ড বাঁধ থেকে জল ছাড়ছে হরিয়ানা। যার জেরে যমুনার জলস্তর অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কেজরীওয়াল কেন্দ্র সরকারকে আর্জি জানিয়েছিলেন, বাঁধ থেকে জল ছাড়া বন্ধ করতে তারা যেন পদক্ষেপ করে। কিন্তু কেজরীওয়ালের দাবি, কেন্দ্র নাকি তাঁদের বলেছে, বাঁধের অতিরিক্ত জল ছাড়া হবে।