Fraud Case

সরকারি স্কুলের ন’জন শিক্ষিকাকে বিয়ে! তাঁদের নামে ব্যাঙ্ক থেকে কোটি টাকার ঋণ নিয়ে পলাতক যুবক

সম্প্রতি এক শিক্ষিকা পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশকে জানান, তাঁর স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু তা-ই নয়, তাঁর নামে ব্যাঙ্ক থেকে ৪১ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫ ১৬:২২
শিক্ষিকাদের বিয়ে করে প্রতারণার অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

শিক্ষিকাদের বিয়ে করে প্রতারণার অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

তাঁর লক্ষ্য ছিল সরকারি চাকুরীজীবী মহিলাদের বিয়ে করা। তার পর তাঁদের নামে ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করা। বেছে বেছে সরকারি স্কুলের শিক্ষিকাদেরই তাঁর শিকার বানানো শুরু করেন উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রের এক যুবক।

Advertisement

সম্প্রতি এক শিক্ষিকা পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশকে জানান, তাঁর স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু তা-ই নয়, তাঁর নামে ব্যাঙ্ক থেকে ৪১ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন। আর সেই টাকারও কোনও হদিস মিলছে না। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথমে বিষয়টি নিখোঁজের মামলা বলে সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত এগোতেই দেখা যায়, এটি নিখোঁজের কোনও মামলাই নয়। পুরোটাই একটি চক্র এবং প্রতারণার ঘটনা।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক নিজেকে রাজন গহলৌত বলে পরিচয় দিতেন শিক্ষিকাদের কাছে। একটি বড় সংস্থার বড় পদমর্যাদার আধিকারিক বলেও নিজেকে তাঁদের কাছে পরিচয় দিতেন। এ ভাবেই শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে তার পর তাঁদের বিয়ে করতেন। বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই শিক্ষিকাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতেন। তার পর নানা অছিলায় শিক্ষিকাদের নামে ব্যাঙ্ক থেকে কখনও ২০ লক্ষ, কখনও ৩০ লক্ষ, কখনও আবার ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিতেন। তার পর সেই টাকা হাতে পেতেই উধাও হয়ে যেতেন। রাজনের শেষ শিকার ছিল সোনভদ্রের এক শিক্ষিকা। সেই শিক্ষিকাই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতেই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

পুলিশ জানিয়েছে, সোনভদ্রের ওই শিক্ষিকাই শুধু একা নন, এ রকম আরও আট শিক্ষিকাকে আগে বিয়ে করছেন ওই যুবক। তার পর তাঁদের নামে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ তুলে পালিয়ে যেতেন। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement
আরও পড়ুন