(বাঁ দিকে) নিহত মায়া গগৈ। আরভ হানোয় (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
বেঙ্গালুরুর হোটেলে ভ্লগার তরুণীকে খুনের অভিযোগে অবশেষে গ্রেফতার হলেন তাঁর প্রেমিক আরভ হানোয়। কর্নাটকের বাইরে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঠিক কোন জায়গায়, কী অবস্থায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা অবশ্য প্রকাশ করেনি পুলিশ। তদন্তকারীদের একটি সূত্র বলছে, খুনের পরে হোটেলের ঘরে প্রেমিকার দেহের সঙ্গে প্রায় দু’দিন কাটিয়েছিলেন অভিযুক্ত। সেই সময়ে বসে বসে ক্রমাগত ধুমপান করে গিয়েছেন তিনি।
সপ্তাহের শুরুতে বেঙ্গালুরুর একটি হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় মায়া গগৈয়ের দেহ। তিনি অসমের বাসিন্দা। ভ্লগ তৈরি করতেন। বেঙ্গালুরুতে বোনের সঙ্গে থাকতেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, সমাজমাধ্যমে আরভের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল মায়ার। গত ছ’মাস ধরে সম্পর্ক ছিল তাঁদের। গত মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর একটি হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় মায়ার দেহ। তার পর থেকে ফেরার ছিলেন আরভ।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, গত শুক্রবার মায়া বোনকে জানিয়েছিলেন অফিসের একটি পার্টিতে যাবেন তিনি। তাই রাতে বাড়ি ফিরতে পারবেন না। শনিবার সকালে আবার বোনকে মেসেজ করে তিনি জানান, ওই রাতেও পার্টি চলবে। তাই তিনি ফিরতে পারবেন না। শনিবার বেঙ্গালুরুর ওই সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেন মায়া। লবিতে বসানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজে মায়া এবং আরভকে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানতে পেরেছে, ২৩ থেকে ২৬ নভেম্বর মায়ার ভাড়া নেওয়া সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টে আর কেউ প্রবেশ করেননি। ২৬ নভেম্বর, মঙ্গলবার সেই হোটেল থেকে বেরিয়ে যান আরভ। তার পরেই হোটেলের ঘর থেকে মায়ার দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেল থেকে বেরিয়ে ক্যাবে চেপে বেঙ্গালুরুর সেন্ট্রাল বিজ়নেস ডিস্ট্রিক্টে পৌঁছন আরভ। তার পরে ফোন বন্ধ করে দেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গত রবিবার হোটেলের ঘরে মায়াকে কুপিয়ে খুন করেছেন আরভ। ঘরে রাখা বালিশ এবং কম্বলে রক্তের দাগ লেগে ছিল। ঘটনাস্থল থেকে ফরেন্সিক নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। মায়ার দেহ কেটে টুকরো করে লোপাট করার চেষ্টা করেছিলেন কি না আরভ, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।