Mamata Banerjee

Mamata Banerjee in Mumbai: প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, গুরুত্বপূর্ণ নয়, গণতন্ত্র বাঁচান, মুম্বইয়ে বিদ্বজ্জনদের বললেন মমতা

মহারাষ্ট্রের বিদ্বজ্জনদের বৈঠকে হাজির ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা। ছিলেন মহেশ ভট্ট, স্বরা ভাস্কর, রিচা চাড্ডা,  জাভেদ আখতার।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২১ ১৪:৩৭
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে জাভেদ আখতার, মেধা পাটকর।

নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে জাভেদ আখতার, মেধা পাটকর। ছবি: ফেসবুক।

২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে প্রধান বিকল্প হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল। তবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে এখনই ভাবতে রাজি নন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুম্বইয়ে বিদ্বজ্জনদের সঙ্গে বৈঠকে বুধবার তিনি বললেন, ‘‘কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিজেপি-কে সরিয়ে গণতন্ত্রকে রক্ষা করাই লক্ষ্য হওয়া উচিত।’’

লোকসভা ভোটে বিজেপি-বিরোধী অবস্থান প্রসঙ্গে ওই বৈঠকে প্রশ্ন করা হয়েছিল মমতাকে। পরিচালক মহেশ ভট্ট প্রশ্ন করেন, অতি অবামপন্থীদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে মমতা কী ভাবছেন। জবাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা পূর্ণশক্তি দিয়ে লড়ব। নাগরিক সমাজকেও এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। বিজেপি-কে বোল্ড আউট করে দিতে হবে। এটা আপনারাই পারেন।’’

মুম্বই সফরের দ্বিতীয় দিনে মমতা বুধবার কবি-গীতিকার জাভেদ আখতারকে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রের বিশিষ্টজনদের বৈঠকে হাজির হন। ওই বৈঠকে ছিলেন মহেশ, স্বরা ভাস্কর, রিচা চাড্ডা, মেধা পাটকরের মতো ব্যক্তিত্ব। হাজির ছিলেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরাও। মমতাকে মুম্বইয়ের বিদ্বজ্জনেরা এক যোগে জানান, বিজেপি-র শাসনে দেশে যখন দুরাশার অন্ধকার নেমেছিল, তখন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ই তাঁদের আশার আলো জুগিয়েছে। তাই মমতাই তাঁদের কাছে আশার আলোর প্রতীক। একইসঙ্গে তাঁদের এ প্রশ্নও ছিল, এই পরিস্থিতিতে কি মমতা নিজেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভাবছেন? জবাবে মমতা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যে কেউ হতে পারেন। তবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। লোকসভা নির্বাচনে দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করাই লক্ষ্য হওয়া উচিত।’’

Advertisement

মমতার সঙ্গে মুম্বইয়ের বিশিষ্টজনেদের আলাপ করিয়ে দেন জাভেদ। মমতাকে অভিনেত্রী স্বরা বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ খেলা দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা তাতে খুশি। কিন্তু আরও বড় লড়াই করতে হবে। কিন্তু নাগরিকদেরও কথা বলার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এর প্রতিকার কী?’’ বুধবারের বৈঠকে এই প্রশ্ন বার বারই আসে মমতার কাছে। জবাবে মমতা বলেন, ‘‘নাগরিক সমাজ একটি কমিটি বানাক। আপনারা আমাদের দিশা দেখান। শুরুটা মুম্বই থেকেই হোক। যা সাহায্য লাগে, করব। মুম্বই আর কলকতা যদি একসঙ্গে কাজ করে, তবে দিল্লি ভয় পাবে।’’

কমিটি গঠনের ব্যাপারে চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, দিল্লির বিশিষ্টজনদেরও সঙ্গে নেওয়ার কথাও বলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘স্বরার মতো তরুণদের সঙ্গে নিন।’’ স্বরার কথার সূত্র ধরেই মমতা বলেন, ‘‘খেলা হয়ে গিয়েছে নয়, আবার খেলা হবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন