ছবি সংগৃহীত।
দৌড়ে ছেদ পড়ার কোনও লক্ষণ নেই। আজ, রবিবার কলকাতায় ৯০-এর ঘরে ঢুকে পড়ল পেট্রোল। বাড়ল ডিজেল-ও। এ নিয়ে টানা ছ’দিন বাড়ল তেলের দর। আজ শহরে আইওসি-র পাম্পে লিটার-পিছু পেট্রল ২৮ পয়সা বেড়ে হল ৯০.০১ টাকা। ৩২ পয়সা বেড়ে ডিজেল সেখানে লিটারে বিকোচ্ছে ৮২.৬৫ টাকায়। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র শুল্ক কমানোর সম্ভাবনা খারিজ করায় চর্চা চলছে, পেট্রলের দর কি এ বারই শতক ছোঁবে? কবে এবং প্রথম কোন শহরে?
শনিবারই কলকাতায় পেট্রলের দর ৯০ টাকার দোরগোড়ায় পৌঁছনোয় শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। আর ৯৫-এর দরজায় কড়া নাড়ছিল মুম্বই। মেট্রো শহর-সহ দেশের প্রায় সর্বত্রই পেট্রলের পাশাপাশি ডিজেলের দর রোজই নতুন করে নজির গড়ছে। কেন্দ্র এ জন্য বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ও উভয় জ্বালানির দরের হিসেবকে দায়ী করলেও বিরোধীদের পাল্টা দাবি, মোদী সরকারের আমলে পেট্রলে শুল্ক বেড়েছে প্রায় ২৫০%, ডিজেলে প্রায় ৮০০%। করোনা সঙ্কটের মধ্যেই গত মার্চে ও মে মাসে পেট্রলে লিটারে ১৩ টাকা ও ডিজেলে ১৬ টাকা শুল্ক বেড়েছে। মূলত অশোধিত তেলের দাম কম (গত বছর যা ছিল শূন্যেরও নীচে) থাকার সময়ে দেশে শুল্ক বেড়েছে। ফলে সুবিধা হয়নি দেশের ক্রেতার। কেন্দ্রীয় বাজেটে শুল্ক সামান্য কমলেও দুই জ্বালানির উপরে কৃষি পরিকাঠামো ও উন্নয়ন সেস বসানোয় তেলের দাম হ্রাসের রাস্তা আটকেই থেকেছে। ফলে পরিবহণের খরচ উত্তরোত্তর বাড়ায় বিভিন্ন জিনিসের দামে ও যাতায়াতে কতটা বাড়তি গুনতে হবে, সেই আশঙ্কায় কাঁটা সকলে।
বারবার শুল্ক হ্রাসের দাবি উঠলেও সম্প্রতি তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সেই সম্ভাবনা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন। উল্টে তাঁর দাবি, তেলের দর নিয়ে ‘ভুল ব্যাখ্যা’ দিচ্ছেন বিরোধীরা! পাশাপাশি রাজ্যগুলিও যে ভ্যাট চাপায়, সে কথা মনে করিয়ে তাদের পদক্ষেপ করতে ইঙ্গিত করেছেন তিনি।
বিরোধীরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, মনমোহন জমানায় বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ১০৮ ডলারের বেশি। কিন্তু দেশে পেট্রল-ডিজেলের দাম অন্তত এর থেকে কম ছিল। অথচ তখনও তেলের দর নিয়ে ইউপিএ সরকারকে বিঁধত বিজেপি। আর এখন অশোধিত তেলের দাম ৬০ ডলার হওয়াতেই দেশে জ্বালানি অগ্নিমূল্য।