maharashtra

Maharashtra Crisis: ‘বিশ্বাসঘাতক’ শিন্ডেকে এ বার চ্যালেঞ্জ উদ্ধবের, বহিষ্কারের অঙ্কে কী হতে পারে বিধানসভায়?

মুম্বই ফিরেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিতে পারেন শিন্ডে। তার আগে লড়াইয়ের বার্তা শিবসেনা প্রধানের।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২২ ১৭:২৭
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গুয়াহাটির হোটেলে বিজেপি ‘হেফাজতে’ ক্রমশ বাড়ছে বিদ্রোহী বিধায়কের ভিড়। শুক্রবার দুপুরেই অসমের রাজধানী থেকে মুম্বই রওনা হয়েছেন বিদ্রোহী শিবিরের নেতা একনাথ শিন্ডে। জল্পনা, বিধানসভায় ‘মহা বিকাশ আঘাডী’ জোটের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিতে পারেন তিনি। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও হাল ছাড়তে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং তাঁর ছেলে আদিত্য। শুক্রবার বিকেলে শিবসেনা পরিষদীয় দল এবং জেলা সভাপতিদের বৈঠকে ইস্তফার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ‘সংখ্যার লড়াইয়ে’ নামার বার্তা দিয়েছেন তাঁরা।

উদ্ধব শুক্রবার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাংলো ‘বর্ষা’ ছেড়ে দিয়েছি, কিন্তু দৃঢ়সংকল্প ছাড়িনি। এর আগেও আমরা একাধিক বার বিদ্রোহের মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু তা সত্ত্বেও দু’বার ক্ষমতায় এসেছি।’’ অন্য দিকে, উদ্ধবের ছেলে তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আদিত্যও ‘বিশ্বাসঘাতকদের’ বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।

Advertisement

এরই মধ্যে শুক্রবার বিকেলে মুম্বইয়ের চণ্ডীবলির শিবসেনা বিধায়ক দিলীপ লন্ডে গুয়াহাটি পৌঁছে বিদ্রোহী শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এর ফলে শিন্ডে-শিবিরে শিবসেনা বিধায়কের সংখ্যা ৩৮-এ পৌঁছল। শিন্ডের দাবি, মোট ৪২ জন শিবসেনা এবং ১০ নির্দল বিধায়ক রয়েছেন তাঁর পাশে।

২৮৮ সদস্যের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন। বর্তমানে একটি পদ খালি থাকায় জাদু-সংখ্যা ১৪৪-এ নেমে এসেছে। অঙ্কের হিসেবে শিবসেনার ৫৫, এনসিপির ৫৩ এবং কংগ্রেসের ৪৪ বিধায়কের পাশাপাশি বহুজন বিকাশ আঘাডীর ৪, সমাজবাদী পার্টি এবং প্রহার জনশক্তি পক্ষের দু’জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে উদ্ধব শিবিরে। এ ছাড়া কৃষক সংগঠন পিডব্লিউপিআই-এর ১ এবং ৮ নির্দল রয়েছেন ট্রেজারি বেঞ্চে।

শিবসেনার ৫৫ বিধায়কের মধ্যে অন্তত ৩৮ জন শিন্ডে শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। সেই সঙ্গে ৮ নির্দলও। বৃহস্পতিবার উদ্ধবের বৈঠকে হাজির ছিলেন মাত্র আদিত্য-সহ মাত্র ১৪ জন বিধায়ক। ফলে ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই’ চালানোর অঙ্গীকার করলেও পরিষদীয় পাটিগণিতের হিসাব বলছে, উদ্ধবের পক্ষে গদিরক্ষা খুবই কঠিন।

মহারাষ্ট্র বিধানসবায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৬। পাশাপাশি মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা, রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষ এবং জনসুরাজ সাক্ষী পক্ষের ১ জন করে এবং ৫ নির্দল বিধায়ক রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী শিবিরে। আসাদউদ্দিন ওয়েইসির ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর ২ এবং সিপিএম ও স্বাভিমানী পক্ষের ১ জন করে বিধায়ক ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থান পালন করেন বিধানসভায়।

এই পরিস্থিতিতে ধাপে ধাপে বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে ধাপে ধাপে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযোগ আনতে সক্রিয় হয়েছে উদ্ধব শিবির। বৃহস্পতিবার শিন্ডে-সহ ১২ বিধায়কের পর শুক্রবার আরও ৪ জন বিদ্রোহী বিধায়কের পদ খারিজের জন্য ভারপ্রাপ্ত স্পিকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। ওই আইন অনুযায়ী, পরিষদীয় দলে ভাঙনের স্বীকৃতির জন্য দলত্যাগ বিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্ত হননি, এমন অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। ধাপে ধাপে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযুক্ত করা হলে বিদ্রোহী শিবিরের ‘লক্ষ্যপূরণ’ কঠিন হয়ে পড়বে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

Advertisement
আরও পড়ুন