(বাঁ দিকে) কনস্টেবল সৌরভ শর্মার বাড়িতে আয়কর দফতরের অভিযান। (ডান দিকে) উদ্ধার হওয়া টাকা। ছবি: সংগৃহীত।
তথ্য ভাঁড়িয়ে চাকরি পেয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের পরিবহণ দফতরের অভিযুক্ত কনস্টেবল। শনিবার এমনই দাবি করেছে লোকযুক্ত পুলিশ। আর এ বার সেই অভিযোগেই অভিযুক্ত কনস্টেবল সৌরভ শর্মার বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের করল পুলিশ। ঘটনাচক্রে, বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সৌরভকে গত বছরে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভোপালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিরঞ্জন শর্মা জানিয়েছেন, পরিবহণ দফতরের তরফে নতুন করে কনস্টেবল সৌরভের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে জানানো হয়েছে যে, চাকরি পেতে সৌরভ নিজে এবং তাঁর মা তথ্য গোপন করেছিলেন। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। সৌরভের বাবা এক জন সরকারি চিকিৎসক ছিলেন। ২০১৫ সালে তাঁর মৃত্যুর পর মানবিকতার ভিত্তিতে পরিবহণ দফতরে কনস্টেবলের চাকরি দেওয়া হয়েছিল।
অভিযোগ, সেখানে যে হলফনামা দিয়েছিলেন সৌরভ এবং তাঁর মা ঊমা দেবী সেখানে বেশ কয়েকটি তথ্য গোপন করেছিলেন। তাঁরা দাবি করেছিলেন, পরিবারের আর কেউ সরকারি চাকরি করেন না। ঘটনাচক্রে, তদন্তে দেখা গিয়েছে, সৌরভের দাদা ছত্তীসগঢ়ের সরকারি কর্মী। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই সিরোল থানায় সৌরভ এবং তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
২০১৫ সাল থেকে পরিবহণ দফতরে কনস্টেবলের চাকরি করছিলেন সৌরভ। ২০২৩ সালে স্বেচ্ছাবসর নেন। গত বছরের ডিসেম্বরে সৌরভের বাড়ি থেকে নগদ আট কোটি টাকা উদ্ধার করে লোকায়ুক্ত পুলিশ। এ ছাড়াও প্রায় তিন কোটি টাকার গয়নাও উদ্ধার হয়। এ ছাড়াও ভোপালের বাইরে একটি গাড়ি থেকে নগদ ১০ কোটি এবং ৫০ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিল আয়কর দফতর। পুলিশ সূত্রে দাবি, উদ্ধার হওয়া এই বিপুল পরিমাণ টাকা এবং সোনার ঘটনার সঙ্গে যোগ রয়েছে কনস্টেবল সৌরভের।