প্রকৃতির ভয়াল রূপ উত্তরাখণ্ডে। ছবি: পিটিআই।
মেঘভাঙা বৃষ্টি আর ধসে উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১২। নিখোঁজ ৫০ জন। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি জেলা। তার মধ্যে রয়েছে হরিদ্বার, টিহরী, দেহরাদূন এবং চামোলি। এই চার জেলাতেই বহু ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে। রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। নিখোঁজ অনেকে।
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে খবর, হরিদ্বারে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার পরই রয়েছে টিহরী। সেখানে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। দেহরাদূনে দুই এবং চামোলিতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। হলদওয়ানি এবং চামোলিতে নিখোঁজ দু’জন। দেহরাদূনের পুলিশ সুপার অজয় সিংহ জানিয়েছেন, রাইপুর এলাকায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন দু’জন। পরে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতেরা হলেন সুন্দর সিংহ এবং অর্জুন সিংহ রানা।
ভারী বৃষ্টির জেরে দেহরাদূনের বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেহরাদূনে ১৭২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। হরিদ্বারের রোশনাবাদে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি পরিমাণ ২১০ মিলমিটার। তার পরই রায়বালায় ১৬৩ মিমি, হলদওয়ানিতে ১৪০, হরিদ্বারে ১৪০, রুড়কিতে ১১২ এবং নৈনিতালে ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সোনপ্রয়াগে মন্দাকিনী নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। হরিদ্বারের রুড়কিতে ভারপুর গ্রামে ভারী বৃষ্টিতে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে তার নীচে চাপা পড়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে আট জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।