Manipur Violence

মণিপুরে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবোঝাই ট্রাকের কনভয়ে আগুন, নাগারা অভিযোগ তুলল কুকিদের বিরুদ্ধে

কুকিদের বিরুদ্ধে পণ্যবাহী ট্রাকের কনভয়ে হামলার অভিযোগ তুলেছে নোনে জেলার রোংমেই নাগা জনগোষ্ঠী। তাদের ছাত্র সংগঠন আরএনএসওএম বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাকও দিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৩
মণিপুরে দু’টি পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা।

মণিপুরে দু’টি পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।

অশান্ত মণিপুরে এ বার নিশানা অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবাহী ট্রাক। বুধবার সকালে তামেংলং জেলার তৌসেমে দুষ্কৃতীরা পণ্যবাহী দু’টি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশের দাবি, নোনে জেলার সীমানাবর্তী এলাকায় ওই হামলার ঘটনার জন্য দায়ী কুকি জঙ্গিরা। ঘটনাচক্রে, একই অভিযোগ তুলেছে নোনে জেলার রোংমেই নাগা জনগোষ্ঠীও। তাদের ছাত্র সংগঠন আরএনএসওএম ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।

Advertisement

মাসখানেকের বিরতির পরে অক্টোবরের মধ্য পর্ব থেকে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে মণিপুরের জিরিবাম জেলায়। সেখানকার বিভিন্ন যুযুধান মেইতেই সশস্ত্র বাহিনী আরাম্বাই টেঙ্গল এবং কুকি জঙ্গিদের মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় গুলির লড়াই চলছে গত এক সপ্তাহ ধরে। হামলা হয়েছে থানা এবং সিআরপিএফ শিবিরেও। কেন্দ্রীর বাহিনীর গুলিতে সোমবার কুকি-জ়ো জনজাতিদের যৌথ মঞ্চ আইটিএলএফের মদতপুষ্ট ১১ জন জঙ্গি নিহত হয়েছেন বলেও পুলিশের দাবি।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত দুশোর বেশি সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।

আরও পড়ুন
Advertisement