প্রেমিকের পানীয়ে বিষ মিশিয়ে খুনে দোষী সাব্যস্ত হলেন তরুণী। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমিকের পানীয়ে একটু একটু করে বিষ মিশিয়েছিলেন বছর ২৪-র তরুণী। শেষমেশ বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় প্রেমিকের। দু’বছর আগের ওই ঘটনায় শুক্রবার এক তরুণীকে দোষী সাব্যস্ত করল কেরলের আদালত।
ওই তরুণীর নাম গ্রীশমা। কন্যাকুমারীর বাসিন্দা গ্রীশমা স্থানীয় একটি কলেজে ইংরেজি বিভাগে স্নাতকোত্তরের ছাত্রী ছিলেন। ২০২১ সালে তিরুঅনন্তপুরমের পরসালার বাসিন্দা শ্যারন রাজের সঙ্গে তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ২০২২ সালে সামরিক অফিসারের সঙ্গে গ্রীশমার বিয়ে ঠিক করে তাঁর পরিবার। বিয়েতে রাজিও হয়ে গিয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু কী ভাবে সম্পর্ক ভেঙে বেরোবেন বুঝতে পারছিলেন না। এর পরেই প্রেমিককে খুনের পরিকল্পনা করেন গ্রীশমা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যারনকে খুনের জন্য ইন্টারনেটে নানা তথ্য ঘেঁটেছিলেন গ্রীশমা। ব্যথানাশক ওষুধ কত মাত্রায় খেলে মানুষের মৃত্যু হতে পারে, তা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে চর্চাও করেছিলেন। এর পর একটু একটু করে শ্যারনকে ওষুধ মেশানো পানীয় খাওয়ানো শুরু করেন গ্রীশমা। কখনও জলে, কখনও ফলের রসে, কখনও আবার প্রেমিকের খাবারের সঙ্গে অল্প মাত্রায় ওষুধ মিশিয়ে দিতেন তিনি। তাতেও কোনও ফল না-হওয়ায় ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে শ্যারনকে নিজের বাড়িতে ডাকেন তরুণী। এর পর তাঁকে কীটনাশক মেশানো পানীয় খেতে দেন। বাড়ি ফিরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেই রাতেই শ্যারনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পর দিন বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় তাঁর। ওই মাসেই গ্রেফতার করা হয় গ্রীশমাকে। সঙ্গে গ্রেফতার হন তাঁর মা এবং কাকাও। খুন, প্রমাণ নষ্ট করা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলাতেই দু’বছর পর তরুণীকে দোষী সাব্যস্ত করল তিরুঅনন্তপুরের নেয়াত্তিঙ্কারার এক দায়রা আদালত।