Houseboat Tragedy

‘এত শিশুর মৃত্যু’! নৌকাডুবিতে গভীর শোকপ্রকাশ, জনস্বার্থ মামলার উদ্যোগ কেরল হাই কোর্টের

রবিবার রাতে মালাপ্পুরমে পর্যটকবোঝাই একটি হাউসবোট উল্টে যায়। অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয় তাতে। অভিযোগ, হাউসবোটটিতে ধারণক্ষমতার বেশি মানুষকে বসানো হয়েছিল। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছে আদালত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৩ ১৪:৫১
Kerala High Court expressed shock and grief on Malappuram Boat Tragedy and initiates launching PIL.

কেরলে হাউসবোট ডুবে গিয়ে দুর্ঘটনার বলি হয়েছেন ২২ জন পর্যটক। ছবি: সংগৃহীত।

মালাপ্পুরমে নৌকাডুবির ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করল কেরল হাই কোর্ট। এই ঘটনায় উচ্চ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি, কেরলের ঘটনাকে ‘বিস্ময়কর’ এবং ‘ভয়াবহ’ বলে মন্তব্য করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।

কেরল হাই কোর্টের বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রণ এবং শোভা আন্নামা এপনের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার মালাপ্পুরমের নৌকাডুবির ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করেছে। ওই ঘটনায় জলে ডুবে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৫ জনই শিশু এবং নাবালক। তাঁদের বয়স ৮ মাস থেকে শুরু করে ১৭ বছরের মধ্যে। এত শিশুর মৃত্যু আদালতের ‘হৃদয়ে রক্তক্ষরণ’ করছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা। তাঁরা জানান, দুর্ঘটনার ছবি দেখে তাঁদের নিদ্রাহীন রাত কাটাতে হয়েছে।

Advertisement

আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়েরের উদ্যোগ নিয়েছে। নিয়ম ভেঙে হাউসবোট চালানোর অনুমতি কেন দেওয়া হল, তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানায় উচ্চ আদালত। ডিভিশন বেঞ্চ এই ঘটনাকে ‘অপদার্থতা, লোভ এবং প্রশাসনের উদাসীনতা’র ফলশ্রুতি বলে মন্তব্য করেছে।

রবিবার রাতে মালাপ্পুরমে পর্যটকবোঝাই একটি হাউসবোট উল্টে যায়। অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয় তাতে। অভিযোগ, হাউসবোটটিতে ধারণক্ষমতার বেশি মানুষকে বসানো হয়েছিল। নিয়ম মানা হয়নি। এমনকি, সেখানে মজুত ছিল না কোনও রকম সুরক্ষা জ্যাকেটও। দুর্ঘটনার পর থেকেই হাউসবোটের চালক পলাতক। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। হাউসবোটের সঙ্গে অন্য যে সমস্ত কর্মীরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদেরও সন্ধান চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement