Landslide in Kerala

ধস নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিল কেন্দ্র, তবু ব্যবস্থা নেয়নি কেরলের সরকার: ওয়েনাড়কাণ্ডে অমিত শাহ

বুধবার রাজ্যসভার অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই ওয়েনাড়ে ভূমিধস বিপর্যয়ের প্রসঙ্গ ওঠে। শাহ জানান, এক সপ্তাহ আগে এ নিয়ে কেরলকে সতর্ক করা হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪ ১৫:১০
ভূমিধস নিয়ে কেরল সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল বলে সংসদে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

ভূমিধস নিয়ে কেরল সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল বলে সংসদে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।

ভূমিধস নিয়ে কেরল সরকারকে আগেই সতর্ক করেছিল কেন্দ্র। বুধবার রাজ্যসভায় এমনটাই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, কেরলে অত্যধিক বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। তার প্রভাবে যে ধস নামতে পারে, আগেই তা বোঝা গিয়েছিল। ধস নিয়ে অন্তত এক সপ্তাহ আগে সতর্ক করা হয়েছিল কেরল সরকারকে। এমনকি, কেন্দ্র থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ন’টি দলকেও আগেভাগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল কেরলে। কিন্তু এত কিছু করা সত্ত্বেও সময়ে ব্যবস্থা নেয়নি কেরল সরকার। যদিও বিপর্যয়ের সময়ে কেরলের পাশেই আছে কেন্দ্র, জানিয়েছেন শাহ।

Advertisement

বুধবার রাজ্যসভার অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই তিনি জানান, ওয়েনাড়ে ভূমিধসকাণ্ডের অন্তত এক সপ্তাহ আগে, গত ২৩ জুলাই কেন্দ্র কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকারকে এ নিয়ে সতর্ক করেছিল। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস শুনেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ন’টি দল। শাহ বলেন, ‘‘কেরলে আগেভাগেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ন’টি দলকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কেরল সরকার সময় থাকতে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর বন্দোবস্ত করেনি। তা করা হলে প্রাণহানি কিছুটা হ্রাস পেত।’’

সংসদে শাহ জানান, সারা বিশ্বে এমন চারটি দেশ রয়েছে, যারা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের অন্তত এক সপ্তাহ আগে তা নিয়ে সতর্কতা জারি করতে পারে। ভারত তার মধ্যে অন্যতম। কেরলের ক্ষেত্রে সেই সুবিধা নেওয়া যায়নি। তবে কেরল সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন শাহ। বলেন, ‘‘ওয়েনাড়ের বিপর্যয়ের মোকাবিলার জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকার কেরল সরকারের এবং কেরলের মানুষের পাশে রয়েছে। প্রয়োজনীয় সব রকমের সাহায্য করা হবে।’’

এখনও পর্যন্ত ওয়েনাড়ে ভূমিধসের কারণে ১৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহতের সংখ্যা অনেক। বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ। জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি কেরলে উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা। পরিস্থিতির তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। মৌসম ভবন জানিয়েছে, কেরলে বৃষ্টি থামার সম্ভাবনা তেমন নেই। আপাতত আরও কিছু দিন ভারী বৃষ্টি চলবে। যাতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement