PP Divya

অতিরিক্ত জেলাশাসকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় কেরলে গ্রেফতার সিপিএম নেত্রী! চাপানউতর রাজনীতিতে

কান্নুরের অতিরিক্ত বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মঙ্গলবার সিপিএম নেত্রী দিব্যার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। তার পরেই তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৩৬
সিপিএম নেত্রী পিপি দিব্য়া।

সিপিএম নেত্রী পিপি দিব্য়া। — ফাইল চিত্র।

কান্নুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক মোহনবাবুর মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার স্থানীয় সিপিএম নেত্রী পিপি দিব্যাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনার জেরে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে কেরলে।

Advertisement

কান্নুরের অতিরিক্ত বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মঙ্গলবার দিব্যার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। তার পরেই তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। কান্নুরের পুলিশ কমিশনার অজিত কুমার বলেন, ‘‘আইনি প্রক্রিয়া মেনেই পদক্ষেপ করব।’’ যদিও কেরলের বিরোধী দল কংগ্রেসের অভিযোগ,গোড়া থেকেই শাসক শিবিরের প্রভাবশালী নেত্রীকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে পুলিশ।

ঘটনার সূত্রপাত গত ১৪ অক্টোবর। অতিরিক্ত জেলাশাসক মোহনের বদলি সংক্রান্ত সংবর্ধনার সরকারি কর্মসূচিতে কান্নুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিব্যা প্রকাশ্যে তাঁকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলেছিলেন। তার পরের দিন মোহনের মৃতদেহ মেলে। অভিযোগ ওঠে, সৎ অফিসার মোহন নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে গিয়ে শাসকদল সিপিএমের চক্ষুশূল হয়ে পড়েছিলেন। অপমান এবং চাপের মুখে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। পরিবারের তরফে এ নিয়ে মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগও জানানো হয়।

অভিযোগ পেয়ে মানবাধিকার কমিশন পুলিশের রিপোর্ট তলব করলেও ‘মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট’ নয় বলে জানায় পুলিশ। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়। বাবুর স্ত্রী মঞ্জুশা দ্বারস্থ হন আদালতের। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মোহনের নিজের জেলা পথনমথিট্টার সিপিএম নেতারাও দিব্যার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি তোলেন। দিব্যা আগাম জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেও মঙ্গলবার তা খারিজ হয়ে যায়। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

Advertisement
আরও পড়ুন