বিজেপি সরকারের শিক্ষার ‘গৈরিকীকরণ’ বদলে দিতে চলেছে কর্নাটকের নবনির্বাচিত কংগ্রেস সরকার। প্রতীকী ছবি
বিজেপি সরকারের শিক্ষার ‘গৈরিকীকরণ’ বদলে দিতে চলেছে কর্নাটকের নবনির্বাচিত কংগ্রেস সরকার। প্রায় চল্লিশ জন শিক্ষাবিদের সঙ্গে বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের মনকে কলুষিত করতে দেওয়া হবে না। ঘৃণার রাজনীতি ও ভয়ের বাতাবরণ দূর করাই হবে নতুন সরকারের কাজ।
কর্নাটকের শিক্ষাবিদদের একাংশ নতুন সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, বিজেপি জমানায় পাঠ্যবইয়ে যে সব বিতর্কিত বিষয়গুলি যোগ করা হয়েছে, তা বাতিল করা হোক। এই প্রসঙ্গে তাঁরা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়াড়কে নিয়ে যোগ করা অধ্যায় ও অন্য কয়েকটি প্রসঙ্গের কথা উল্লেখ করেছেন। সমাজ সংস্কারক কিছু ব্যক্তিত্বকে পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
তবে এই মুহূর্তে এই সব বিষয়ে পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে সরকারের সামনে কিছু অসুবিধা তৈরি হয়েছে। কারণ, শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে। ছাপা বই শিক্ষার্থীদের কাছে বিলি করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘পড়ুয়াদের মন কলুষিত করতে দেওয়া যাবে না। তবে শিক্ষাবর্ষ যে হেতু শুরু হয়ে গিয়েছে, তাই আলোচনার মাধ্যমে আমাদের পদক্ষেপ করতে হবে। দেখতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় যাতে কোনও রকম ক্ষতি না হয়।’’ নতুন সরকারের কাছে শিক্ষাবিদদের একাংশ প্রস্তাব দিয়েছেন, বিজেপি জমানায় পাঠ্যবইয়ে জুড়ে দেওয়া বিতর্কিত কিছু বিষয় শিক্ষকেরা যাতে না পড়ান, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ নিয়ে কর্নাটকের মন্ত্রিসভা আলোচনায় বসতে চলেছে।
কর্নাটকের স্কুল শিক্ষামন্ত্রী মধু বঙ্গরাপ্পা ‘শিক্ষার্থীদের স্বার্থে’ পাঠ্যবই সংশোধন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেসের ইস্তাহার কমিটির সহ-সভাপতি ছিলাম আমি। সেই ইস্তাহারে আমরা স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছি, পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে পাঠ্যবইয়ে সংশোধন করা হবে। শিক্ষার্থীদের মনকে কলুষিত করতে চাই না আমরা।’’