আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার। ফাইল চিত্র।
বিজেপিকে রুখে কর্নাটকে জয়ের পথে কংগ্রেস। ভোটের গণনার প্রবণতা অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই অনেকটা এগিয়ে রয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন এই দল। জয়ের আনন্দের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার।
শনিবার সকাল ৮টায় ভোটগণনা শুরু হয়েছিল কর্নাটকে। গণনার শুরু থেকেই বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর চলেছিল। তবে বেলা গড়াতেই বিজেপিকে পিছনে ফেলে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। গণনার প্রবণতা স্পষ্ট হতেই জয়ের আনন্দে মেতেছেন কংগ্রেস কর্মীরা। নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে নাচ করতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস কর্মীদের। উৎসবের মেজাজ বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেসের দফতরেও। বেঙ্গালুরুতে শিবকুমারের বাড়ির সামনে সকালে মিষ্টি বিলি করেছিলেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। তার কিছু সময় পরেই জয়ের খবর পান শিবকুমার। কনকপুরা আসন থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি।
দুপুরে গণনার প্রবণতা স্পষ্ট হওয়ার পর বাড়ির বারান্দায় এসে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়তে দেখা যায় শিবকুমারকে। করজোড়ে নমস্কারও জানান তিনি। এর পরই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার সময় দলের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন শিবকুমার। বলেন, ‘‘দলের নেতাকর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। মানুষ আমাদের উপর ভরসা করেছেন। সমর্থন করেছেন।’’ এই জয় কারও একার নয় বলেও মন্তব্য করেছেন শিবকুমার। বলেছেন, ‘‘সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করেছি। সেই কারণেই এই সাফল্য এসেছে।’’
#WATCH | Karnataka Congress President DK Shivakumar gets emotional on his party's comfortable victory in state Assembly elections pic.twitter.com/ANaqVMXgFr
— ANI (@ANI) May 13, 2023
তার পরই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নাম নিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন শিবকুমার। কাঁদো কাঁদো গলায় বলেন, ‘‘সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গেকে আশ্বস্ত করেছি যে কর্নাটকের সেবা করব।’’ সনিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে গলা বুজে আসে ৬১ বছর বয়সি শিবকুমারের। বলেন, ‘‘কখনওই ভুলব না যে, জেলে আমার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সনিয়া গান্ধী।’’
ধন্যবাদ জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকেও। কংগ্রেসের জয়ের ছবি স্পষ্ট হতেই সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি উঠেছে। তবে এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি শিবকুমার। তিনি শুধু বলেছেন, ‘‘কংগ্রেসের দফতর আমাদের কাছে মন্দির। কংগ্রেস দফতরে আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব।’’