কংগ্রেসের ইস্তাহার পোড়াচ্ছেন বিজেপি নেতা ইশ্বরাপ্পা।
কর্নাটকের বিধানসভা ভোটে ক্রমশ বিতর্ক দানা বাঁধছে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব ঘিরে। কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারে দেওয়া ওই প্রস্তাবের ইতিমধ্যেই তীব্র বিরোধিতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বার বিজেপি নেতা তথা সে রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী ইশ্বরাপ্পা প্রকাশ্যে কংগ্রেসের ইস্তাহার পোড়ালেন। তাঁর এই কাজে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ।
কলবুর্গিতে (গুলবর্গা) বিজেপির জনসভায় ইশ্বরাপ্পা কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারে আগুন ধরিয়ে বলেন, ‘‘এটা কংগ্রেসের নয়, মুসলিম লিগের নির্বাচনী ইস্তাহার। ওদের সাহস কী করে হয়, বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার কথা বলার।’’ আগামী বুধবার (১০ মে) কর্নাটকের ২২৪ বিধানসভা আসনে এক দফায় ভোটগ্রহণ। ১৩ মে গণনা। তার আগে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারকে হাতিয়ার করে পদ্মশিবির পরিকল্পিত ভাবে মেরুকরণের রাজনীতি করতে চাইছে বলে ভোট পণ্ডিতদের একাংশের ধারণা।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই কয়েকটি জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে হিজাব বিতর্ক বা টিপু সুলতান প্রসঙ্গ, আমজনতার মনে তেমন বিভাজন ঘটাতে পারেনি। বরং ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ভোটের বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে বলে পূর্বাভাস মিলেছে।
কর্নাটক বিধানসভা ভোটের নির্বাচনী ইস্তাহারে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে সে রাজ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব শাখা বজরং দলের পাশাপাশি, কট্টরপন্থী মুসলিম সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ (পিএফআই)-এর উপর বিধিনিষেধ জারি করা হবে। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপি প্রচারসভায় বলেন, ‘‘কংগ্রেস আগে রামনামের উপর বিধিনিষেধ জারি করতে সক্রিয় ছিল, এখন তারা ‘জয় বজরংবলী’ স্লোগানকারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাইছে।’’ বক্তৃতায় ‘জয় বজরংবলী’ স্লোগানও দেন তিনি।
এই অস্বস্তি সামাল দিতে বৃহস্পতিবার মাঠে নামেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মইলি। উদুপিতে তিনি বলেন, “এটুকু বলতে পারি, এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, যে বিজেপি এখন বল্লভভাই পটেলের বন্দনা করে, তিনিই এক সময়ে আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করেছিলেন। ঘৃণাভাষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবস্থানের অঙ্গ হিসাবেই ইস্তাহারে বক্তব্য জানিয়েছি আমরা। কিন্তু বজরং দলকে নিষিদ্ধের কোনও উদ্দেশ্য নেই।’’ কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন অজনেয় (হনুমান) মন্দির নির্মাণের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেবে।