umar khalid

দিল্লি হিংসায় অভিযুক্ত উমর খলিদের জামিনের আবেদন নাকচ, জেলেই থাকবেন প্রাক্তন ছাত্রনেতা

দিল্লি হিংসায় পাথর ছোড়ার মামলায় উমরকে ২০২২ সালে জামিনে মুক্তি দিয়েছিল দিল্লির করকরদুমা আদালত। তবে হিংসার ষড়যন্ত্র সংক্রান্ত মামলায় ইউএপিএ ধারায় অভিযুক্ত হিসাবে তিনি জেলবন্দি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২৪ ১৬:১৪
উমর খালিদ।

উমর খালিদ। — ফাইল চিত্র।

দিল্লিতে ২০২০ সালের হিংসার ঘটনায় অভিযুক্ত জেএনইউ-র প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদের জামিনের আবেদন খারিজ করল করকরডুমা আদালত। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন ওই হিংসার ঘটনায় উমরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) মামলা করেছিল দিল্লি পুলিশ।

Advertisement

সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির হিংসায় মৃত্যু হয় ৫৩ জনের। ঘটনার ‘অন্যতম মূল ষড়যন্ত্রকারী’ বলে দাবি করে উমরকে উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। জেএনইউয়ের প্রাক্তন এই গবেষকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। দিল্লি হাই কোর্টের ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবরের রায়ে তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ হলে শীর্ষ আদালতে গিয়েছিলেন উমর।

২০২৩ সালের অগস্টে উমরের জামিনের আবেদনের শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্র। এর পরে শীর্ষ আদালত থেকে জামিনের আর্জি প্রত্যাহার করে নিয়ে নতুন করে করকরডুমা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উমর। আবেদনের শুনানির পর গত ১৩ মে বিচারক সমীর বাজপেয়ী মামলায় রায় স্থগিত রেখেছিলেন।

প্রসঙ্গত, দিল্লি হিংসার সময় পাথর ছোড়ার মামলায় উমর এবং আর এক প্রাক্তন ছাত্রনেতা খলিদ সইফিকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জামিনে মুক্তি দিয়েছিল দিল্লির করকরডুমা আদালত। তবে উমর এবং সইফি দু’জনেই দিল্লি হিংসার ষড়যন্ত্র সংক্রান্ত মামলায় ইউএপিএ ধারায় অভিযুক্ত হিসাবে জেলবন্দি। ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী জামিনে সাত দিনের জন্য জেলমুক্ত হয়েছিলেন উমর। ৩০ ডিসেম্বর আবার তাঁকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement