CJI Sanjeev Khanna

জেলা আদালতের আইনজীবী থেকে সুপ্রিম কোর্টের শীর্ষ পদে, শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না

সোমবার সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি। দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪ ১১:০৬
দেশের ৫১ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিচ্ছেন সঞ্জীব খন্না। সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে।

দেশের ৫১ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিচ্ছেন সঞ্জীব খন্না। সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে। ছবি: পিটিআই।

দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন সঞ্জীব খন্না। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সোমবার সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের স্থলাভিষিক্ত হলেন বিচারপতি খন্না। আগামী ছ’মাস দেশের বিচারব্যবস্থার শীর্ষপদে থাকবেন তিনি। তাঁর অবসর গ্রহণের দিন ২০২৫-এর ১৩ মে।

Advertisement

দিল্লির জেলা আদালতে আইনজীবী হিসাবে কর্মজীবন শুরু খন্নার। পরে তিনি দিল্লি হাই কোর্টের আইনজীবী হন। ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি আয়কর বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন। ২০০৫ সালে দিল্লি হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন তিনি। ২০০৬ সালে স্থায়ী বিচারপতি হন। ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি বিচারপতি খন্না সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। বিচারপতি খন্না মুষ্টিমেয় কয়েক জনের মধ্যে অন্যতম, যাঁরা দেশের কোনও হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি না হয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হয়েছেন।

সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া নির্বাচনী বন্ড, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের জামিন-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের অংশ থেকেছেন বিচারপতি খন্না। চলতি বছরে অগস্টে মুম্বইয়ের এক কলেজে পড়ুয়াদের বোরখা, হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত মামলারও শুনানি হয়েছিল তাঁর বেঞ্চে। কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, তাতে আংশিক স্থগিতাদেশ দিয়েছিল তাঁর বেঞ্চ।

বিচারপতি খন্নার আরও একটি পরিচয় হল, তিনি সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি হংসরাজ খন্নার ভাইপো। তাঁর পিতা দিল্লি হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবরাজ খন্না। বিচারপতি হংসরাজ যে এজলাস থেকে অবসর নিয়েছিলেন, সেই এজলাস থেকেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

সাধারণত অবসর গ্রহণের আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে শীর্ষ আদালতের প্রবীণতম বিচারপতির নাম সুপারিশ করেন। সেই প্রথা মেনেই সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসাবে সম্প্রতি বিচারপতি খন্নার নাম সুপারিশ করেছিলেন। তার পরেই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

আরও পড়ুন
Advertisement