Bilkis Bano

বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানানো মামলা থেকে সরলেন বিচারপতি ত্রিবেদী

বুধবার সুপ্রিম কোর্টে বিলকিস বানো মামলার অপরাধীদের মুক্তি সংক্রান্ত মামলার শুনানির শুরুতেই বেঞ্চের অন্য বিচারপতি অজয়কুমার রাস্তোগি জানান, বিচারপতি ত্রিবেদী মামলাটি শুনতে চান না।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:১৮
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী। —ফাইল চিত্র।

বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সিপিএম নেত্রী সুহাষিনী আলি, সাংবাদিক রেবতী লউল, লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রূপরেখা বর্মারা। কিন্তু বুধবার সেই মামলার শুনানি থেকে অব্যাহতি নিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী। ফলে নতুন বেঞ্চ গঠন না হওয়া পর্যন্ত শুনানি মুলতুবি হয়ে গেল।

বুধবার শুনানির শুরুতেই বেঞ্চের অন্য বিচারপতি অজয়কুমার রাস্তোগি জানান, বিচারপতি ত্রিবেদী মামলাটি শুনতে চান না। তার পর তিনি নির্দেশ দেন, মামলাটি এমন কোনও বেঞ্চের তালিকাভুক্ত করা হোক যেখানে তাঁদের দু’জনের মধ্যে কেউ থাকবেন না। প্রসঙ্গত, গত ১৭ ডিসেম্বর ১১ জন ধর্ষক ও খুনির মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বিলকিস আর্জি জানিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতে। সেই বেঞ্চেও প্রথমে ছিলেন বিচারপতি ত্রিবেদী এবং বিচারপতি রাস্তোগী। কিন্তু ত্রিবেদী পরে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

Advertisement

গত ১৫ অগস্ট ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে বিলকিস-কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। তার আগে, মে মাসে মুক্তির জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ওই ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গুজরাত সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল আদালত। বিজেপি পরিচালিত গুজরাত সরকার ১১ অপরাধীর মুক্তির পক্ষে সওয়াল করে সুপ্রিম কোর্টের সবুজ সঙ্কেত পায়।

গুজরাত সরকার ১১ জন ধর্ষকের জেলের ভিতরে ‘ভাল আচরণের’ দাবি করলেও সরকারি তথ্য ‘অন্য কথা’ বলছে বলে অভিযোগ। ওই ১১ জন যখন বিভিন্ন সময় প্যারোলে জেলের বাইরে ছিল, তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। দু’জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। দু’জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জমা পড়েছে। ১১ জনের মধ্যে ১০ জনই প্যারোলের নিয়মভঙ্গ করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গোধরা-কাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলাকালীন, ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর তিন বছরের মেয়েকে পাথরে আছড়ে মারে হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। বিলকিসের পরিবারের আরও কয়েক জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। এই অপরাধকে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে মুম্বইয়ের সিবিআই আদালতে কঠোর সাজার পক্ষে সওয়াল করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল ওই বিশেষ আদালত। মামলা চলাকালীন এক জনের মৃত্যু হয়। বাকিরা এখন মুক্ত।

আরও পড়ুন
Advertisement