হেমন্ত সোরেন। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ৯০ মিনিট হেমন্ত সোরেনের হেলিকপ্টারকে ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি! এমন অভিযোগ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিল ঝাড়খণ্ডের শাসকদল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)। চিঠিতে রাষ্ট্রপতিকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে সব দলের তারকা প্রচারকেরা যাতে সমান সুযোগসুবিধা পান, তা সুনিশ্চিত করার অনুরোধ করা হয়েছে।
রবিবার ঝাড়খণ্ডের গঢ়ওয়া এবং চাইবাসায় বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভা করেন মোদী। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের দল জেএমএম-এর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী যাবেন বলে ওই এলাকার আকাশপথকে ‘নো ফ্লাই জ়োন’ করে দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট একটি সময় ওই অঞ্চলে অন্য কোনও বিমান কিংবা কপ্টারকে ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। জেএমএম জানিয়েছে, রবিবার দুপুরে পশ্চিম সিংভূমে প্রচার সেরে আকাশপথে সিমডেগায় যাওয়ার কথা ছিল হেমন্তের। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টারকে ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় হেমন্তকে।
এই প্রসঙ্গে জেএমএম মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “হেমন্তের প্রচারসভা থেকে চাইবাসার দূরত্ব ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার। নির্বাচন কমিশন হেমন্তের সফরে অনুমতিও দিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তাবিধির কথা বলে প্রায় দেড় ঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টারকে দাঁড় করিয়ে রাখা হল।” জেএমএম-এর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য ৫০ কিলোমিটার এলাকাকে ১৫ মিনিটের জন্য ‘নো ফ্লাই জ়োন’ ঘোষণা করা হতে পারে। কিন্তু সেই নিয়ম ভেঙে ৯০ মিনিট অপেক্ষা করানো হয়েছে এক জন মুখ্যমন্ত্রীকে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডে দু’দফায় বিধানসভা ভোট হবে। মহারাষ্ট্রের সঙ্গেই গণনা হবে আগামী ২৩ নভেম্বর। ৮১ বিধানসভা আসনবিশিষ্ট ঝাড়খণ্ডে মূল লড়াই জেএমএম নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়ার’ সঙ্গের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র।