Jharkhand High Court

অকারণে বিচ্ছেদ চাইতে পারেন না স্ত্রী, শ্বশুরবাড়ির সেবা করতেই হবে, মনুস্মৃতি দিয়ে বোঝাল কোর্ট

বিবাহবিচ্ছেদের ওই মামলায় মহিলার বিরুদ্ধে স্বামীকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের থেকে দূরে সরানোর চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। তার জন্য মহিলাকে ভর্ৎসনাও করেছে আদালত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:১৬

—প্রতীকী চিত্র।

অকারণে স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ চাইতেই পারেন না স্ত্রী। তা ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী। স্বামীর সংসারে বয়োঃজ্যেষ্ঠদের সেবা তাঁকে করে যেতে হবে। দেশের সংস্কৃতিকে তিনি উপেক্ষা করতে পারেন না। মনুস্মৃতির কথা উল্লেখ করে এমনটাই মন্তব্য করেছে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। ওই মহিলাকে সংসার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্বামীর কাছ থেকে যে ভাতা পেতেন বিচ্ছিন্ন স্ত্রী, তা-ও বাতিল করে দিয়েছে আদালত।

Advertisement

বিবাহবিচ্ছেদের ওই মামলায় মহিলার বিরুদ্ধে স্বামীকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের থেকে দূরে সরানোর চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। তার জন্য মহিলাকে ভর্ৎসনাও করেছে আদালত। ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের বিচারপতি সুভাষ চাঁদ তাঁর ২৫ পৃষ্ঠার নির্দেশ-কপিতে মনুস্মৃতির উল্লেখ করে দেশের সংস্কৃতি এবং সংসারে বধূর ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের বেশ কিছু নির্দেশের কথাও উল্লেখ করেছেন বিচারপতি। আদর্শ বৈবাহিক সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত, দাম্পত্য এবং সংসারে স্বামী, স্ত্রীর দায়িত্ব, কর্তব্য কী হওয়া উচিত, বুঝিয়েছেন তিনি।

বলা হয়েছে, পশ্চিমের দেশগুলিতে বিবাহিত পুত্র বাবা এবং মায়ের থেকে আলাদা হয়ে থাকেন। কিন্তু ভারতীয় সংস্কৃতি তেমন নয়। এখানে বিয়ের পর স্ত্রী স্বামীর পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেন। খুব যৌক্তিক কারণ ছাড়া তিনি স্বামীকে তাঁর পরিবারের থেকে আলাদা থাকতে বলতে পারেন না। স্বামীকে এ বিষয়ে তিনি জোরও করতে পারেন না।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিবাহিত জীবনে স্ত্রীকেই সামাজিক দিকটির কথা মাথায় রাখতে হয়। স্বামীর কাজে উৎসাহ দেওয়া থেকে শুরু করে, তাঁকে বোঝা এবং তাঁর সর্বক্ষণের আদর্শ সঙ্গিনী হয়ে ওঠা স্ত্রীর কর্তব্য। সংবিধানের উল্লেখ করে আদালত জানিয়েছে, দেশের সংস্কৃতি রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য।

মনুস্মৃতির একটি অংশ উল্লেখ করা হয়েছে ওই নির্দেশ-কপিতে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনও সংসারে বধূ যদি খারাপ হন, তবে সংসার ছাড়খাড় হয়ে যায়।

বিবাহবিচ্ছেদের পরে পারিবারিক আদালত ওই ব্যক্তিকে স্ত্রী এবং নাবালক সন্তানের ভরণপোষণের খরচ জোগাতে নির্দেশ দিয়েছিল। তা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই মামলাতেই ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট স্ত্রীকে তাঁর কর্তব্য বুঝিয়েছে। তাঁর ভরণপোষণ বন্ধও করে দিয়েছে। তবে দম্পতির সন্তানের খরচ ওই ব্যক্তিকেই জোগাতে হবে। সেই খরচের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আদালত।

Advertisement
আরও পড়ুন