—প্রতীকী ছবি।
বড়দিনের মুখে কোনও মতে ‘শাটডাউন’ এড়াল আমেরিকা। শনিবার, ২১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ‘কংগ্রেস’-এ তড়িঘড়ি পাশ হয় জরুরি তহবিল বিল। ফলে মার্চ মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সরকারি খরচ চালানোর ক্ষেত্রে আরও কোনও সমস্যা হবে আমেরিকার ফেডারেল সরকারের। ‘শাটডাউন’ এড়ানোয় অন্তত ৮ লক্ষ ৭৫ হাজার সরকারি কর্মচারীর মুখে ফুটেছে হাসি। নির্ধারিত সময়ে ডিসেম্বরের বেতন পাবেন তাঁরা।
শনিবার মধ্যরাত থেকে আমেরিকা ফের এক বার ‘শাটডাউন’-এর কবলে চলে যাবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু, সরকারি খরচের তহবিল শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই ব্যয় সংক্রান্ত এই বিল পাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ‘কংগ্রেস’-এর উচ্চকক্ষ ‘সেনেট’। ফলে এ যাত্রা কান ঘেঁষে ফাঁড়া কেটেছে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ‘শাটডাউন’ এড়াতে ‘কংগ্রেস’-এর নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভ’-এ একটি বিল নিয়ে আসে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি। কিন্তু ভোটাভুটিতে সেই বিল খারিজ হয়ে যায়। পরে কিছুটা দেরিতে জরুরি তহবিলের বিল ওঠে ‘হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভে’। কট্টরপন্থী রিপাবলিকানদের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও সেই বিল অবশ্য পাশ করে ‘কংগ্রেস’। শনিবার, ২১ ডিসেম্বর বিলটিকে ‘সেনেটে’ পাঠানো হয়েছিল। সেখানেও এটি পাশ হওয়ায় এ বছরের সম্ভাব্য ‘শাটডাউন’ এড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পাশ হওয়া আর্থিক খরচের বিলটি উত্থাপন করেন এক রিপাবলিকান আইন প্রণেতা। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়া সত্ত্বেও বিলটিকে পুরোপুরি সমর্থন করেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যরা। অন্য দিকে রিপাবলিকানদের ৩৪ জন নেতা-নেত্রী এর প্রবল বিরোধী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ফলে ‘হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভ’-এ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও বিলটি পাশ করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে ট্রাম্পের দল। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন পাওয়ায় সেই বাধা কাটানো গিয়েছে।
বর্তমানে আমেরিকায় চলছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া। আগামী বছরের (পড়ুন ২০২৫) ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে ‘শাটডাউন’ হলে তা রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্ম দিত। শেষ মুহূর্তে ব্যয় বিল পাশ হওয়ায় সেই আশঙ্কা দূর হল বলেই মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। পাশ হওয়া বিলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে ত্রাণ এবং কৃষি সহায়তার জন্য ১১ হাজার ডলার আর্থিক প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে।