Jharkhand Political Turmoil

দশ নয়, শপথ নেওয়ার তিন দিনের মধ্যেই বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা দেবে ঝাড়খণ্ডের চম্পই সরকার

সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য চম্পই সরকারকে রাজ্যপাল ১০ দিন সময় দিয়েছিলেন। সোরেন-জোটের আশঙ্কা, এই সময়সীমার মধ্যেই বিধায়কদের ভাঙিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে বিজেপি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৪৯
Jharkhand floor test on Monday, MLAs under police guard at Hyderabad

ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন। ছবি: পিটিআই।

সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের চম্পই সোরেনের সরকারকে। তবে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির জোট সরকার মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিল যে, তিন দিনের মধ্যেই আস্থাভোটের মাধ্যমে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়া হবে। গত শুক্রবারই ৪৩ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন জেএমএম নেতা চম্পই।

Advertisement

বুধবার হেমন্ত সোরেন ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক পটভূমিকা বদলে যায়। তাঁর পরে কে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। জেএমএম সূত্রে জানা যায়, হেমন্তের ইচ্ছা ছিল স্ত্রী কল্পনা সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রী করার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। জোট এবং সোরেন পরিবারের মধ্যেই কল্পনাকে নিয়ে আপত্তি ছিল। শেষ পর্যন্ত চম্পই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যান। শাসক বিধায়কদের সকলেই তাঁকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানান।

সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য চম্পই সরকারকে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ ১০ দিন সময় দিয়েছিলেন। সোরেন-জোটের প্রথম ‘ভয়’ এই সময়সীমা নিয়ে। কারণ, ১০ দিনের মধ্যে বিধায়ক ‘কেনাবেচা’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অতীতে এমন উদাহরণ বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে। ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ‘জাদুসংখ্যা’ ৪১। শাসক জোটের হাতে রয়েছে ৪৮ জন বিধায়ক। জেএমএম ২৯, কংগ্রেস ১৬, আরজেডির ১ এবং সিপিআই (লিবারেশন) ১। এর মধ্যে হেমন্ত গ্রেফতার হওয়ায় তিনি বিধানসভায় ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারবেন না। বর্তমানে চম্পইয়ের সঙ্গে রয়েছেন ৪৩ জন বিধায়ক। বাকি চার জনের দেখা পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে, বিরোধী শিবিরে রয়েছেন ৩২ বিধায়ক। এঁদের মধ্যে বিজেপির ২৫, আজসুর ৩, এনসিপি (অজিত) ১ এবং নির্দল ৩ জন। অতীতে উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল, কর্নাটক কিংবা মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘বিধায়ক কেনাবেচা’র অভিযোগ উঠেছে।

বিধায়ক কেনাবেচার আশঙ্কা থেকেই শুক্রবার শাসক জোটের ৪০ জন বিধায়ককে কংগ্রেসশাসিত তেলঙ্গানায় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। হায়দরাবাদের একটি রিসর্টে রাখা হয়েছে ওই বিধায়কদের। বিধায়কদের নিরাপত্তারক্ষায় ওই রিসর্টের বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। শুক্রবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তেলঙ্গনার পর্যবেক্ষক দীপা দাশমুন্সি ওই বিধায়কদের স্বাগত জানান।

আরও পড়ুন
Advertisement