Gyanvapi Mosque

জ্ঞানবাপী মসজিদের সেই ‘শিবলিঙ্গ’ রক্ষার শুনানি শুক্রবার, নয়া বেঞ্চ গড়ল সুপ্রিম কোর্ট

গত ১৭ মে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছিল, নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দিতে পারে বারাণসীর আদালত। কিন্তু মসজিদে নমাজ বন্ধ করা যাবে না।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৩৬
বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং কাশী বিশ্বনাথ মন্দির।

বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। ফাইল চিত্র।

বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার জলাধারে তথাকথিত শিবলিঙ্গের (মতান্তরে ফোয়ারা) নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনের শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ গঠন করছে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিকেল ৩টেয় সেই নতুন বেঞ্চে মামলার শুনানি হতে পারে বলে শীর্ষ আদালত সূত্রের খবর।

জ্ঞানবাপী মামলায় হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এ বার জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি হবে। গত ১৭ মে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছিল, নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দিতে পারে বারাণসীর আদালত। কিন্তু কোনও ভাবেই মসজিদে নমাজ বন্ধ করা যাবে না। সেই অন্তর্বর্তী নির্দেশের সময়সীমা শুক্রবার শেষ হচ্ছে।

Advertisement

শীর্ষ আদালতের ওই নির্দেশের আগে বারাণসীর নিম্ন আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকরের এজলাসে আদালত নিযুক্ত কোর্ট কমিশনার এবং ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-এর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত পর্যবেক্ষক দলের সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফি সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল। এর পর বিচারক রবিকুমার দিবাকর মসজিদের অন্দরের ওজুখানা ও তহ্‌খানা সিল করার নির্দেশ দেন। নির্দেশে বলা হয়, বারাণসীর জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনারের পাশাপাশি সিআরপিএফের এক জন কমান্ডান্ট (সুপার) স্তরের আধিকারিককে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।

সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’। তারই প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশ দেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। এর পর মামলাটি বারাণসী নিম্ন আদালত থেকে বারাণসী জেলা আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০২১-এর অগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা-সহ) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী দায়রা আদালতে। এর পর দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার নিযুক্ত কমিটি মসজিদের অন্দরে সমীক্ষা ও ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দিয়ে পর্যবেক্ষক দল গঠন করেছিল।

আরও পড়ুন
Advertisement