Nimisha Priya Death Sentence

‘যা সম্ভব, করব’, ইয়েমেনে কেরলের নার্সের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ভারতকে আশ্বাস দিল ইরান

কেরলের বাসিন্দা নিমিশা ইয়েমেনে নার্সের কাজ করতেন। অভিযোগ, তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী তালাল আবদো মাহদিকে অতিরিক্ত পরিমাণ ঘুমের ওষুধের ইনজেকশন দিয়েছিলেন নিমিশা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:০২
নিমিশা প্রিয়া

নিমিশা প্রিয়া — ফাইল চিত্র।

ইয়েমেনে ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে যা করা সম্ভব, করা হবে। ভারতকে এমনটাই আশ্বাস দিলেন ইরানের এক শীর্ষ আধিকারিক। ইয়েমেনের এক নাগরিককে খুনে দোষী ৩৭ বছরের নিমিশা এখন সে দেশের রাজধানী সানার জেলে বন্দি। এই শহর আবার ইরান সমর্থিত হুথিদের দখলে। মনে করা হচ্ছে, সেই হিসাবেই ভারতকে নিমিশার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে ইরান।

Advertisement

দিল্লিতে ইরান দূতাবাসের এক শীর্ষ আধিকারিক বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি দেখব। সম্ভবত তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চার্জ রয়েছে। মানবাধিকার ক্ষেত্রে এই নিয়ে যা করা সম্ভব, আমরা করব।’’

নিমিশা কেরলের পালাক্কড় জেলার কোল্লেনগোড়ের বাসিন্দা। ইয়েমেনে নার্সের কাজ করতেন। অভিযোগ, তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী তালাল আবদো মাহদিকে অতিরিক্ত পরিমাণ ঘুমের ওষুধের ইনজেকশন দিয়েছিলেন নিমিশা। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। তালালের কাছে পাসপোর্ট ছিল নিমিশার। সেই পাসপোর্ট উদ্ধার করতেই এই কাণ্ড নিমিশা ঘটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ইয়েমেনের আদালত। ২০২০ সালে নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা দেয় নিমিশাকে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে সেই সাজা বহাল রাখে ইয়েমেনের সর্বোচ্চ আদালত। দিন কয়েক আগে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল-আলিমিও নিমিশার সেই সাজা বহাল রাখে।

মঙ্গলবার ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় সরকার নিমিশার মামলায় সব রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত। তাঁর পরিবারকেও আশ্বাস দেন রণধীর। নিমিশার মা প্রেমা কুমারী এখন ইয়েমেনে রয়েছেন। তিনি মেয়ের মৃত্যুদণ্ড রোধে কেন্দ্রের দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এখনও পর্যন্ত সব রকমের সাহায্য করার জন্য ভারত ও কেরল সরকারের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তা-ও শেষ বারের মতো অনুরোধ করছি, কিছু করুন। ওকে বাঁচান। সময় ফুরিয়ে আসছে, দয়া করে ওকে বাঁচান। এটাই আমার শেষ আবেদন।’’ এ বার ইরান জানাল, যা করা সম্ভব, করবে তারা।

Advertisement
আরও পড়ুন