BJP Internal Conflict

পদ্মের কোন্দল এ বার মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানায়

লোকসভা ভোটের পর থেকেই গোষ্ঠী কোন্দলে দীর্ণ উত্তরপ্রদেশ। রাজ্যের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য ও ব্রজেশ পাঠকের অভিযোগ, যোগী আদিত্যনাথের শাসনে গুরুত্ব হারিয়েছেন দলীয় কর্মীরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৪ ০৮:২৪

—প্রতীকী চিত্র।

শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, বিজেপির মধ্যে প্রকাশ্য গোষ্ঠী কোন্দলের ছায়া এ বার মধ্যপ্রদেশ আর হরিয়ানাতেও। মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দুই উপমুখ্যমন্ত্রী। হরিয়ানাতে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব সে রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা দলিত নেতা অনিল ভিজ।

Advertisement

লোকসভা ভোটের পর থেকেই গোষ্ঠী কোন্দলে দীর্ণ উত্তরপ্রদেশ। রাজ্যের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য ও ব্রজেশ পাঠকের অভিযোগ, যোগী আদিত্যনাথের শাসনে গুরুত্ব হারিয়েছেন দলীয় কর্মীরা। কর্মীদের একটি বড় অংশ বসে গিয়েছেন, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে লোকসভা ভোটে। এ ভাবে চললে ২০২৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও দলের জয় আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই দুই নেতা। সূত্রের মতে, কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অবিলম্বে যোগীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর দাবি করেছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনাচিন্তা চালু রয়েছে কেন্দ্রীয় স্তরে।

মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তাঁর দুই উপমুখ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্ল ও জগদীশ দেবদা। গত বছর ওই রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। সূত্রের মতে, ক্ষমতায় আসার এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দুই উপমুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী কার্যত একার হাতেই শাসন চালাচ্ছেন। দুই উপমুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ তিনি নেন না। তাঁদের হাতে থাকা দফতরগুলিও বকলমে সামলাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এতে সরকার ও প্রশাসনে ভুল বার্তা যাচ্ছে। সূত্রের মতে, গোষ্ঠী কোন্দল থামাতে বাজেট অধিবেশনের পরে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের ডেকে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের সভাপতি জেপি নড্ডা।

অন্য দিকে দু’মাস পরেই হরিয়ানায় নির্বাচন। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া তৈরি হওয়ায় সম্প্রতি মনোহরলাল খট্টরকে সরিয়ে নায়েব সিংহ সাইনিকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে বিজেপি। সাইনির মন্ত্রিসভায় জায়গা না পেয়ে গোড়া থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন খট্টর মন্ত্রিসভার প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ। দু’দিন আগে এক্স হ্যান্ডলে ভিজ লেখেন, ‘‘নৌকা ডুবলে, সবাই ডুববে। না তুমি বাঁচবে, না তোমার সঙ্গীরা।’’ পরে তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে, এই যুক্তি দেখিয়ে লেখাটি সমাজমাধ্যম তিনি থেকে তুলে নেন।

কিন্তু রাজনীতির অনেকের মতে, ওই বক্তব্যের মাধ্যমে মূলত সাইনি সরকারের কাজকর্ম নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন ভিজ। মুখ্যমন্ত্রী পাল্টেও দল যে ক্রমশ জনসমর্থন হারাচ্ছে, তাকেই নৌকা ডোবার সঙ্গে তুলনা করতে চেয়েছিলেন তিনি। লোকসভা ভোটে ওই রাজ্যে এ বার দশটির মধ্যে পাঁচটি আসন বিজেপির থেকে কেড়ে নিয়েছে কংগ্রেস। রাজ্যে ক্ষমতা বদল নিয়েও আশাবাদী কংগ্রেস। গোষ্ঠী কোন্দল ভুলে দলকে একজোট হয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। প্রতিপক্ষ যখন ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে, তখন ভিজের মতো দাপুটে দলিত নেতার বিক্ষুব্ধ আচরণ যথেষ্ট চিন্তায় রেখেছে বিজেপি নেতৃত্বকে।

আরও পড়ুন
Advertisement