ডোনাল্ড ট্রাম্প। — ফাইল চিত্র।
ভারতীয় পণ্যের উপর আমেরিকার চাপানো পাল্টা শুল্ক নিয়ে বিবৃতি দিল ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আমেরিকার প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত সতর্ক ভাবে পর্যালোচনা করে দেখছে কেন্দ্র। খুব শীঘ্রই সমস্ত শিল্প এবং রফতানিকারক সংস্থার সঙ্গে কথা বলে শুল্ক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে দেখার চেষ্টা করা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতিটি পদক্ষেপ এবং ঘোষণার প্রভাব অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে পরীক্ষা করে দেখছি। প্রধানমন্ত্রীর ‘বিকশিত ভারতে’র দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে, সমস্ত ভারতীয় শিল্প এবং রফতানিকারক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছে আমাদের দফতর, যাতে নয়া এই শুল্ক সম্পর্কে সকলের প্রতিক্রিয়া জানা যায়। সে সবের ভিত্তিতেই পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে দেখা হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, মার্কিন বাণিজ্যনীতিতে এই নতুন বদলের ফলে ভারতের সামনে কী কী সুযোগ আসতে পারে, সে সবও খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র।’’
বাণিজ্য মন্ত্রকের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আগামী ৫ এপ্রিল থেকে আমেরিকায় রফতানি করা সমস্ত পণ্যের উপর সর্বজনীন ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে। তার পর দেশভিত্তিক অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর হবে ১০ এপ্রিল থেকে। অর্থাৎ, আমেরিকায় রফতানিকৃত ভারতীয় পণ্যের উপর ৫ এপ্রিল থেকে ১০ শতাংশ এবং ১০ এপ্রিল থেকে বাকি ১৬ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার মধ্যরাতে নানা দেশের পণ্যে ‘পাল্টা’ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করে আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, ‘বন্ধু’ ভারতের উপরেও বসানো হবে ২৬ শতাংশ শুল্ক। প্রসঙ্গত, আপাতত একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে ভারত ও আমেরিকার। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যেই চুক্তির প্রথম পর্যায়ের কাজ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে রয়েছে দুই দেশ। সেই আবহে এ-হেন শুল্ক-আঘাত কি বিপত্তি ডেকে আনবে? এর ফলে অদূর ভবিষ্যতে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য সম্পর্কে কী প্রভাব পড়বে? এ সব নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে নানা মহলে। সেই আবহেই এ বার মুখ খুলল ভারত।