C-17 Globemaster

কার্গিলের ৯৭০০ ফুট উচ্চতায় তৎপরতা বায়ুসেনার! যাতায়াত শুরু করল বৃহত্তম বিমান সি-১৭

সামরিক পরিভাষায় সি-১৭ গ্লোবমাস্টারকে বলা হয়, ‘স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফ্‌ট’। আমেরিকায় তৈরি এই ভারী সামরিক পরিবহণ বিমান ভারতীয় বায়ুসেনায় শামিল হয়েছিল ২০১৯ সালে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৫ ১১:৫৮
সি-১৭ গ্লোবমাস্টার।

সি-১৭ গ্লোবমাস্টার। ছবি: এক্স হ্য়ান্ডল থেকে নেওয়া।

লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) পরে এ বার কার্গিলের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) অবতরণ করল ভারতীয় বায়ুসেনার বৃহত্তম বিমান সি-১৭ গ্লোবমাস্টার। ভারতীয় বায়ুসেনার এই সাফল্যে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নির্ণায়ক হতে পারে বলে সেনার দাবি।

Advertisement

প্রকাশিত খবরে দাবি, গত বুধবার কার্গিলের ৯৭০০ ফুট উচ্চতার বিমানঘাঁটিতে সফল ভাবে উড়ান এবং অবতরণের পরীক্ষা হয়েছে সি-১৭-এর। ওই দুর্গম বিমানঘাঁটিতে এর আগে ‘সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস’, ‘এএন-৩২’-এর মতো প্রপেলার চালিত অপেক্ষাকৃত ছোট সামরিক পরিবহণ বিমানের যাতায়াত ছিল। কিন্তু এই প্রথম বার সেখানে সফল উড়ান পরীক্ষা হল সি-১৭-এর।

১৯৯৯ সালের মতো কার্গিলে আবার ‘অপ্রীতিকর পরিস্থিতি’ তৈরি হলে খুব দ্রুত সেখানে বাহিনী এবং রসদ পাঠানোর প্রয়োজন পড়বে। সে দিকে নজর রেখেই ওই বিমানঘাঁটির আধুনিকীকরণও করেছে বায়ুসেনা। সাধারণ ভাবে ৭০ টন ওজন পরিবহণে সক্ষম হলেও কার্গিলের মতো উঁচু, পাহাড়ঘেরা এলাকায় এক বারে ৩৫ টন অস্ত্র ও রসদ পৌঁছে দিতে পারবে সি-১৭ গ্লোবমাস্টার।

সামরিক পরিভাষায় সি-১৭ গ্লোবমাস্টারকে বলা হয়, ‘স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফ্‌ট’। আমেরিকার সংস্থা ম্যাকডোনেল ডগলাসের তৈরি এই ভারী সামরিক পরিবহণ বিমান ভারতীয় বায়ুসেনায় শামিল হয়েছিল ২০১৯ সালে। ছোট রানওয়েতে ওঠানামায় দড় এই বিমান চিন সীমান্ত ঘেঁষা দুর্গম পাহাড়ি এলাকার সেনাঘাঁটিগুলিতে অস্ত্র ও রসদ সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি, দ্রুত সেনা পাঠানোর কাজেও বায়ুসেনার কাজে লাগে এই বিমান। ট্যাঙ্ক বা ভারী কামানের মতো অস্ত্রও দুর্গম এলাকায় পৌঁছে দিতে পারে সি-১৭।

Advertisement
আরও পড়ুন