অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ফাইল চিত্র।
বিজেপি বিরোধী নতুন জোটের নামকে কটাক্ষ করে মঙ্গলবার টুইট করেছিলেন তিনি। কিন্তু তা ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধতেই পিছু হটলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মুছে ফেললেন ‘ইন্ডিয়া বনাম ভারত’ দ্বন্দ্ব উস্কে দেওয়া সেই বিতর্কিত টুইট।
বেঙ্গালুরুতে মঙ্গলবার ২৬টি বিরোধী দলের বৈঠকে নয়া বিরোধী জোটের নাম, ‘ইন্ডিয়া’ (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়ান্স) ঘোষণা করা হয়। তার পর থেকে বিজেপির একাধিক নেতা বিষয়টিকে ‘ইন্ডিয়া বনাম ভারত’ লড়াই বলে চিহ্নিত করতে সক্রিয় হয়েছেন। সেই তালিকাতেই রয়েছেন হিমন্ত। মঙ্গলবার তিনি টুইটারে লেখেন, ‘‘ইন্ডিয়া এবং ভারতকে কেন্দ্র করে আমাদের সভ্যতাগত দ্বন্দ্ব রয়েছে। ঔপনিবেশিকতার উত্তরাধিকার থেকে নিজেদের মুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের সক্রিয় হতে হবে। আমাদের পূর্বপুরুষেরা ভারতের জন্য লড়াই করেছেন, এবং আমরা ভারতের জন্য কাজ করে যাব। কংগ্রেস ইন্ডিয়ার পক্ষে, মোদীজি ভারতের।’’
Why did HBS delete his original tweet which says Congress for India ??
— Vijay Thottathil (@vijaythottathil) July 18, 2023
Because that’s the truth, truth will come out how much ever you try to suppress it Mr @himantabiswa !
Congress stands for 𝐈𝐍𝐃𝐈𝐀 pic.twitter.com/vsHqlQzCnM
হিমন্তের ওই টুইট সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক দানা বাঁধে। সেই সঙ্গে হিমন্ত কংগ্রেসকে ‘ইন্ডিয়ার পক্ষে’ বলায় কটাক্ষও করা হয় তাঁকে। এর পরে ওই টুইটটি অসমের মুখ্যমন্ত্রীর হ্যান্ডল থেকে মুছে ফেলা হয়। যা দেখে কংগ্রেসের আইটি সেলের সদস্য বিজয় থোট্টাথিলের কটাক্ষ, ‘‘হিমন্ত বিশ্বশর্মা তাঁর টুইটটি মুছে দিলেও সত্যটা ধামাচাপা দিতে পারবেন না। কংগ্রেস সত্যিই ইন্ডিয়ার পক্ষে।’’
প্রসঙ্গত, ‘ভারত বনাম ইন্ডিয়া’ বিভাজনপন্থী বিজেপি নেতাদের মতে, ‘ইন্ডিয়া’ নামটি ব্রিটিশ ঔপেনিবেশিকতার উত্তরসূরি। কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা যার ধারক। অন্য দিকে, বিজেপি ‘সনাতন ভারতীয় সংস্কৃতির’ ঐতিহ্যবাহী বলে ওই অংশের দাবি। যদিও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় গণপরিষদে গৃহীত ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘ইন্ডিয়া বনাম ভারত’ বৈপরীত্যের কোনও ধারণা দেওয়া নেই। তার প্রথম বাক্যই হল, ‘ইন্ডিয়া অর্থাৎ ভারত’ (ইন্ডিয়া, দ্যাট ইজ ভারত)।