Extradition of Khalistani Terrorist

খলিস্তানি সন্ত্রাসী ডাল্লাকে হাতে চাইছে ভারত! ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’-কে কানাডা থেকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ

বিদেশ মন্ত্রক থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অর্শদীপ সিংহ ওরফে অর্শ ডাল্লাকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ৫০টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে এ দেশে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৫১
খলিস্তানপন্থী সন্ত্রাসী অর্শদীপ সিংহ ওরফে অর্শ ডাল্লা।

খলিস্তানপন্থী সন্ত্রাসী অর্শদীপ সিংহ ওরফে অর্শ ডাল্লা। —ফাইল চিত্র।

খলিস্তানপন্থী সন্ত্রাসী অর্শদীপ সিংহ ওরফে অর্শ ডাল্লাকে কানাডা থেকে দেশে নিয়ে আসতে চায় ভারত। কিছু দিন আগেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে কানাডার পুলিশ। অর্শদীপকে অনেক দিন ধরেই খুঁজছিল ভারত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকাতে অনেক দিন ধরেই রয়েছে তাঁর নাম। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, কানাডা থেকে তাঁকে ভারতে ফেরানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

Advertisement

ভারতে ডাল্লার বিরুদ্ধে ৫০টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। খুন, খুনের চেষ্টা, তোলাবাজি, সন্ত্রাস ছড়ানো এবং সন্ত্রাসবাদে আর্থিক সাহায্যের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কানাডায় এক দল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী তাঁর উপর হামলা চালিয়েছিল। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনি ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। পরে কানাডার পুলিশ তাঁর গাড়ি ও বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছিল। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পর গ্রেফতার হন ডাল্লা।

বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৩ সালে ভারত অর্শদীপকে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা করেছে। ওই বছরের জুলাই মাসেই কেন্দ্র কানাডার সরকারকে অনুরোধ করেছিল ডাল্লাকে গ্রেফতার করার জন্য। কিন্তু তা করেনি কানাডার প্রশাসন। এ বার ডাল্লা গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হবে বলে জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে।

অর্শদীপ ছিলেন খলিস্তানি টাইগার ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত প্রধান। নিহত সন্ত্রাসী হরদীপ সিংহ নিজ্জরের উত্তরসূরি হিসাবেও দেখা হয় তাঁকে। প্রসঙ্গত, খলিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জরকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল ভারত। তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে তাঁকে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার পর থেকেই ভারত-কানাডার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। জাস্টিন ট্রুডোর সরকার নিজ্জর-হত্যায় ভারতের হাত আছে বলে দাবি করে। সেই নিজ্জরেরই ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত অর্শদীপ।

উল্লেখ্য, অর্শদীপের গ্যাং ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম করে বলেও অভিযোগ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে কংগ্রেস নেতা বালজিন্দর সিংহ বাল্লি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছিলেন অর্শদীপ। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তিনি দাবি করেছিলেন, বালজিন্দর তাঁর জীবন নষ্ট করে দিয়েছিলেন। অন্ধকার জগতে যেতে বাধ্য করেছিলেন। এ ছাড়াও, আরও বেশ কয়েকটি মামলায় অর্শদীপের নাম জড়িয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement