India-USA Arms Deal

লড়াকু বিমান উড়বে পাইলট ছাড়াই, শত্রুঘাঁটি লক্ষ্য করে হানবে নিশানা, দ্রুত ভারতে আমেরিকার ‘হান্টার কিলার’

চলতি বছরের মধ্যেই আমেরিকা থেকে ৩১টি ‘হান্টার কিলার’ লড়াকু ড্রোন বিমান কিনতে চাইছে কেন্দ্র। কোনও পাইলট ছাড়াই ৪০ হাজার ফুটেরও বেশি উঁচুতে উড়তে পারে এই বিমান।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৪ ১২:৪০
ড্রোন বিমান কেনার চুক্তিতে গতি আনছে ভারত।

ড্রোন বিমান কেনার চুক্তিতে গতি আনছে ভারত। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকার সঙ্গে সামরিক চুক্তিতে আরও গতি আনছে ভারত। সে দেশ থেকে ৩১টি এমকিউ-৯বি কেনার কথা রয়েছে ভারতের। যা ‘হান্টার কিলার’ নামে পরিচিত। এই লড়াকু বিমান চালাতে প্রয়োজন হয় না কোনও পাইলটের। উচ্চ শক্তিধর এই ড্রোন বিমানগুলি কেনার বিষয়ে আলোচনায় আরও গতি আনছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই চুক্তিতে সই করে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র। সেই মতো দুই দেশের মধ্যে আলোচনাও চলছে বলে সূত্রের দাবি।

Advertisement

সাম্প্রতিক সময়ে চিন ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক যে পথে এগিয়েছে, তাতে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের এই সামরিক চুক্তি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। পূর্ব লাদাখ ও অরুণাচলের সীমান্তে চিন লাল ফৌজের জওয়ান ও সমরসজ্জা বিগত দিনগুলিতে উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানকেও চিন সামরিক সাহায্য করছে। সূত্রের দাবি, চিন থেকে কাই হং-৪ ও উইং লুং-২ ড্রোন সরবরাহ করা হচ্ছে পাকিস্তানকে। ইতিমধ্যেই সাতটি কাই হং-৪ ড্রোন রয়েছে পাকিস্তানের হাতে। সম্প্রতি বেজিংয়ের থেকে আরও ১৬টি কাই হং-৪ চেয়েছে ইসলামবাদ।

তবে আমেরিকা থেকে যে এমকিউ-৯বি আসার কথা ভারতে, তা চিনে তৈরি ড্রোনগুলির থেকে আরও শক্তিধর বলেই দাবি করা হচ্ছে। ৪০ হাজার ফুটের বেশি উঁচু জায়গা থেকে নজরদারি চালাতে পারে এই পাইলটহীন ‘হান্টার কিলার’ বিমান। এক টানা ৪০ ঘণ্টারও বেশি আকাশে উড়তে পারে। এতে রয়েছে ‘হেলফায়ার’ ক্ষেপণাস্ত্র, যা লক্ষ্যবস্তুতে অব্যর্থ নিশানা হানতে সক্ষম।

সূত্রের খবর, এই ৩১টি ‘হান্টার কিলার’-এর জন্য আমেরিকান সংস্থা দর হেঁকেছে ৩.৯ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৩৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি)। সঙ্গে দেবে ১৭০টি ‘হেলফায়ার’ ক্ষেপণাস্ত্র, ৩১০টি বোমা, দিকনির্ধারণ যন্ত্র, সেন্সর ও মাটি থেকে ওই লড়াকু ড্রোন চালনার যন্ত্র। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সূত্র জানিয়েছে, আমেরিকা সরকার ও জেনারেল অ্যাটমিকস অন্যান্য দেশগুলিকে কী দরে বিক্রি করেছে, সেটিও পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যেই যাতে চুক্তিপত্র সই হয়ে যায়, তার জন্য সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement