ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মায়ানমার। — ফাইল চিত্র।
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে আরও ৪৪২ টন খাবার পাঠাল ভারত। গত ২৮ মার্চ ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল প্রতিবেশী দেশ। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম বার খাদ্য পাঠিয়েছিল দিল্লি। সে দেশকে সাহায্যের জন্য ‘ব্রহ্মা’ অভিযান শুরু করে নয়াদিল্লি। আইএনএস ঘড়িয়াল জাহাজে করে আরও বিপুল পরিমাণে খাবার পাঠাল ভারত। শনিবার সেই জাহাজ ভিড়েছে দক্ষিণ মায়ানমারের থিলাওয়া বন্দরে। সেখানে ইয়াঙ্গন অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে।
ইয়াঙ্গনে ভারতীয় দূতাবাস মায়ানমারে সেই ত্রাণ পৌঁছোনোর কথা সমাজমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ জানিয়েছে। ১ এপ্রিল বিশাখাপত্তনম থেকে খাবার নিয়ে রওনা হয়েছিল আইএনএস ঘড়িয়াল। নৌসেনার জাহাজে কী কী খাবার, কত পরিমাণে পাঠানো হচ্ছে মায়ানমারে, তখন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। সেই বিবৃতি অনুযায়ী, ৪০৫ মেট্রিক টন চাল, ৩০ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল, পাঁচ মেট্রিক টন বিস্কুট, ২ মেট্রিক টন ইনস্ট্যান্ট নুডল্স পাঠিয়েছে ভারত। এর আগেও নৌসেনার জাহাজে বেশ কয়েক টন খাবার পাঠানো হয়েছে মায়ানমারে।
শুক্রবার কোয়াডের সদস্যভুক্ত দেশ অস্ট্রেলিয়া, জাপান, আমেরিকার সঙ্গে মিলে ভারত মায়ানমারকে ২০ মিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় তার মূল্য প্রায় ১৭১ কোটি টাকা। সেখানে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়ার কথাও জানিয়েছে ভারত।
এর আগে জরুরি পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ অস্থায়ী হাসপাতাল (ফিল্ড হসপিটাল) পাঠানো হয়। ওই অস্থায়ী হাসপাতালে ভূমিকম্পে আহতদের জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ১১৮ জনের একটি দল। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৮০ জনের একটি দলকে মায়ানমারে পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্য। ২৮ মার্চের ভূমিকম্পে মায়ানমারে মারা গিয়েছেন ৩,১০০ জনেরও বেশি। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে চার হাজার জন। ভেঙে গিয়েছে পরিকাঠামো। এখনও সে দেশে চলছে উদ্ধারকাজ।