Arunachal Pradesh Row

‘অরুণাচল আমাদের অংশ’, দাবি চিনা সেনার! জবাবে বিদেশ মন্ত্রক বলল, ‘যুক্তিহীন কথাবার্তা’

গত বছরও কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত একদলীয় চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস সরকারি বিজ্ঞপ্তি উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল, জিনপিং সরকার অরুণাচলের ১১টি এলাকার নাম পরিবর্তন করেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৭:০৮
এলএসি-তে ভারতীয় সেনা।

এলএসি-তে ভারতীয় সেনা। — ফাইল চিত্র।

অরুণাচল প্রদেশকে নিয়ে আবার শুরু হল নয়াদিল্লি-বেজিং টানাপড়েন। সোমবার চিনা পিপল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) অরুণাচলকে ‘চিনা ভূখণ্ডের অংশ’ বলে চিহ্নিত করেছিল। মঙ্গলবার তার কড়া জবাব দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিনের দাবি পুরোপুরি অযৌক্তিক। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণবীর জয়সওয়াল মঙ্গলবার বলেন, ‘‘অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে চিন ক্রমাগত যুক্তিহীন কথাবার্তা বলে চলেছে। আমরা চিনা সামরিক বিভাগের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলি নজরে রেখেছি।’’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ৯ মার্চ অরুণাচল সফরে গিয়ে চিন সীমান্তবর্তী সেলা গিরিপথের ১৩ হাজার ফুট উচ্চতার দ্বিতীয় সুড়ঙ্গটির উদ্বোধন করেছিলেন। তার পরেই উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই রাজ্য ঘিরে ‘তৎপর’ হয়েছে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার। এর আগে চিনা বিদেশ দফতর দাবি করেছিল, জাংনান (অরুণাচল প্রদেশের চিনা নাম) চিনের ভূখণ্ডের অংশ। এ বার বিতর্কে ঢুকে পড়ল চিনা ফৌজও।

গত বছর কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত একদলীয় চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস সরকারি বিজ্ঞপ্তি উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল, জিনপিং সরকার অরুণাচলের ১১টি এলাকার নাম পরিবর্তন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ, দু’টি মালভূমি অঞ্চল, দু’টি আবাসিক এলাকা এবং দু’টি নদী। এর পরেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে চিনা পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করে জানানো হয়েছিল, অরুণাচলের যে ১১টি অঞ্চলের নাম বদলের কথা বলা হচ্ছে সেগুলি ভারতীয় ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর পরেও গত অগস্টে প্রকাশিত ২০২৩ সালের ‘স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ’-এ অরুণাচলকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে জিনপিংয়ের সরকার।

অরুণাচলকে ভারতীয় ভূখণ্ড হিসাবে কখনওই স্বীকৃতি দেয়নি চিন। তাদের দাবি, উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই প্রদেশ অধিকৃত তিব্বতের দক্ষিণ অংশ। এর আগেও দু’বার অরুণাচলের বিভিন্ন অংশের নাম বদল করেছে চিন। ২০১৭ সালে দলাই লামার অরুণাচল সফরের পরে সে রাজ্যের ছ’টি জায়গার নাম বদল করে চিনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ২০২১ সালে আরও ১৫টি জায়গার নাম বদলের কথা জানিয়েছিল তারা। লাদাখের পাশাপাশি গত কয়েক বছরে তাওয়াং-সহ অরুণাচলের বেশ কিছু এলাকাতেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে চিনা ফৌজের অনুপ্রবেশের ‘খবর’ এসেছে। এই পরিস্থিতিতে পিএলএ-র এই আগ্রাসী মনোভাব নতুন করে সামরিক উত্তেজনা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

আরও পড়ুন
Advertisement