Crime

সিনেমার কায়দায় অপহরণকারীর কবল থেকে মেয়েকে উদ্ধার করলেন মুম্বইয়ের ব্যক্তি

মুম্বইয়ের দক্ষিণ বান্দ্রা এলাকায় বাড়ির কাছ থেকে তাঁর ১২ বছরের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক ব্যক্তি। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবককে পাকড়াও করেছে পুলিশ।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৪৯
কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর বাবা।

কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর বাবা। প্রতীকী ছবি।

ঠিক যেন সিনেমা! মিথ্যা কথা বলে এক যুবকের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কিশোরী। অভিযোগ, পরে সেই যুবকই তাকে অপহরণ করে চম্পট দেন। মেয়ে অপহৃত হয়েছেন, তা বুঝতে পেরেই উদ্ধার করতে উঠেপড়ে লাগেন কিশোরীর বাবা। সেই চেষ্টা সফলও হয়। অপহৃত মেয়েকে উদ্ধারের এই ঘটনার সঙ্গে লিয়াম নিসনের ‘টেকেন’ ছবির অনেকটাই মিল রয়েছে।

মুম্বইয়ের দক্ষিণ বান্দ্রা এলাকায় বাড়ির কাছ থেকে তাঁর ১২ বছরের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক ব্যক্তি। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবক শাহিদ খানকে (২৪) পাকড়াও করেছে পুলিশ। ওই কিশোরীকে উদ্ধারও করা হয়েছে।

Advertisement

ঠিক কী ঘটেছিল?

পুলিশ সূত্রে খবর, বান্দ্রার একটি পোশাকের দোকানে কাজ করতেন শাহিদ। ওই এলাকাতেই কিশোরীর বাড়ি। অভিযোগ, কেনাকাটা করতে তাঁর সঙ্গে যাওয়ার জন্য কিশোরীকে প্রস্তাব দেন ওই যুবক। বাড়িতে মিথ্যা কথা বলে বেরোয় কিশোরী। গত ৪ সেপ্টেম্বর কিশোরীকে নিয়ে কেনাকাটা করতে যাওয়ার বদলে কুরলা যান যুবক। সেখান থেকে প্রথমে বাসে করে সুরত, তার পর ট্রেনে করে দিল্লি রওনা দেন তিনি।

মেয়ে বাড়ি না ফেরায় কিশোরীর বাবা-মা থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই সঙ্গে পাড়া-পড়শিদের কাছ থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। শেষে ‘টেকেন’ সিনেমায় লিয়াম নিসন অভিনীত চরিত্রের মতোই পুলিশের সহযোগিতায় ওই ব্যক্তি তাঁর মেয়েকে উদ্ধার করেন।

জানা গিয়েছে, কিশোরীকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের কাছে যান যুবক। আলিগড়ের কাছে এত্রোলি গ্রামে যুবকের বাড়ি। এটা জানার পরই কিশোরীর বাবা যুবকের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার পর গ্রামবাসী ও স্থানীয়দের সাহায্যে মেয়েকে উদ্ধার করেন। তাঁর মেয়েকে সুরতগামী বাসে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি। এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement