Bilkis Bano

বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির যাবতীয় নথি গুজরাত সরকারের কাছ থেকে তলব করল সুপ্রিম কোর্ট

গত ১৫ অগস্ট গুজরাত জেল থেকে মুক্তি পায় ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোকে গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জন।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৩৮
সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলায় দোষীদের মুক্তি সংক্রান্ত সমস্ত নথি দেওয়ার জন্য গুজরাত সরকারকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার শীর্ষ আদালত গুজরাত সরকারকে জানিয়েছে, বিলকিস বানো মামলার কার্যক্রমের পুরো রেকর্ড দাখিল করতে হবে। তার মধ্যে রয়েছে দোষীদের মুক্তির আদেশের নথিও। সংশ্লিষ্ট মামলার সমস্ত প্রাসঙ্গিক নথি জমা দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে দু’সপ্তাহ।

দোষীদের এক জন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গুজরাত সরকারকে বিলকিস মামলার দোষীদের শাস্তি মকুবের বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। এর পর গত ১৫ অগস্ট গুজরাতের জেল থেকে মুক্তি পায় ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোকে গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জন। বিলকিসের তিন বছরের মেয়েকেও আছড়ে মারা হয়েছিল তাঁর চোখের সামনে। ‘খুন’ হয়েছিলেন বিলকিসের পরিবারের মোট আট জন।

Advertisement

দোষীরা ১৫ বছর জেল খেটে মুক্তির পাওয়ার পরই শুরু হয় বিতর্ক। জেল থেকে তারা মুক্তি পেতেই মালা, মিষ্টিতে বরণ করে নেওয়া হয়। বিজেপির এক জন জনপ্রতিনিধি বলেন, এই ধর্ষকদের ‘স্বভাব-চরিত্র ভাল।’

গ্রামে ফিরে তাদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখে ভয় পেয়ে অনেকে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এর পর প্রায় ছ’হাজার লোক প্রশাসনকে চিঠি লেখেন। দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সিপিএম নেত্রী সুভাষিণী আলি প্রমুখ। এর পরই পদক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট। সপ্তাহ তিনেক পর এই মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে।

আরও পড়ুন
Advertisement