অভিযুক্ত শিক্ষিকা তৃপ্তি ত্যাগী। ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর কাজ নিয়ে দেশ জুড়ে যতই বিতর্ক হোক, বিষয়টিকে ‘ছোট ঘটনা’ বলেই ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি। রবিবার আরও এক ধাপ এগিয়ে তিনি জানালেন, গোটা ঘটনার জন্য তিনি লজ্জিত নন। গ্রামের মানুষ তাঁর সঙ্গে রয়েছে বলেও দাবি করলেন তিনি।
আট বছরের খুদে পড়ুয়াকে অন্য পড়ুয়াদের দিয়ে মার খাওয়ানোয় অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের খুববাপুর এলাকায় অবস্থিত নেহা পাবলিক স্কুলের শিক্ষিকা তৃপ্তি ত্যাগী। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, আট বছরের খুদে পড়ুয়াকে মারার নিদান দিচ্ছেন শিক্ষিকা। শ্রেণিকক্ষে বসে থাকা খুদে সহপাঠীরা শিক্ষিকার নির্দেশ মোতাবেক হাসিমুখে বন্ধুকে চড় মেরে যাচ্ছে। মারের চোটে কেঁদে উঠছে শিশুটি। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। শনিবার নিজের কাজের সাফাই দিয়ে তৃপ্তি বলেছিলেন, “আমি প্রতিবন্ধী। উঠতে পারি না। তাই অন্য পড়ুয়াদের বলি ছাত্রটিকে গিয়ে মারতে।”
রবিবার ওই শিক্ষিকা এনডিটিভি-কে বলেন, “আমি লজ্জিত নই। আমি গ্রামের মানুষের হয়ে নিজের কাজ করেছি। তাঁরা সকলে আমার সঙ্গে রয়েছেন।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “স্কুলে বাচ্চাদের শাসন করা দরকার। এই ভাবে তাদের শাসন করা উচিত।” ইতিমধ্যেই ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
কোনও কোনও মহল থেকে অভিযোগ তোলা হয় যে, ছাত্রটি নির্দিষ্ট একটি ধর্মের বলেই, তার উপরে এই ‘পীড়ন’ চালানো হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে দেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলের ওই ভিডিয়ো ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং সিপিএম নেতৃত্ব। তাঁদের প্রশ্ন, এত ঘৃণার চাষ কেন? রাহুল লেখেন, ‘‘ছোট শিশুদের মনে ঘৃণার বিষ ঢোকানো, স্কুলের মতো পবিত্র জায়গাকে ঘৃণার বাজারে পরিণত করছেন এক শিক্ষক। দেশের জন্য এর চেয়ে খারাপ কিছু করতে পারেন না।”