২১ বছরের যুবক সাই কিরণ গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
অনলাইন বেটিংয়ের ফাঁদে লক্ষ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন ছাত্র। ঋণ নিয়ে, ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি করেও অনলাইনে জুয়া খেলে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। ২১ বছরের যুবক সাই কিরণ গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তেলঙ্গানার রঙ্গারেড্ডি জেলার মাহেশ্বরমের ঘটনা।
কিরণ হায়দরাবাদের একটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। পুলিশ জানিয়েছে, কিরণের মা দিনমজুরের কাজ করতেন। বিয়ের পর পরই তাঁকে তাঁর স্বামী ছেড়ে চলে যান। একা কাজ করে একমাত্র সন্তান কিরণকে বড় করেছেন। ছেলে অনলাইনে জুয়া খেলায় আসক্ত ছিলেন। এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না তাঁর মা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জুয়া খেলে চার লক্ষ টাকা খুইয়েছিলেন তিনি। তার পরেও জুয়া খেলা বন্ধ করেননি।
বন্ধুদের থেকে ধার করেও জুয়া খেলেছিলেন। ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিলেন নিজের স্কুটারও। সেই টাকায় জুয়া খেলে আবার হেরে যান। তাঁর মা স্কুটারের কথা জিজ্ঞেস করেছিলেন। তখন তাঁকে কিরণ জানিয়েছিলেন যে, মেরামতির জন্য তা দোকানে দিয়েছেন। এর পরে কিরণের মা মেরামতির বিল দেখতে চান। তিনি জানান, স্কুটার মেরামতিতে যা খরচ হবে, সেই টাকা মিটিয়ে দেবেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পরেই ভেঙে পড়েন কিরণ। শুক্রবার নিজের ঘরে প্রবেশ করে কিরণ দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন। এর পরে নিজের গায়ে আগুন দেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
১৮ ডিসেম্বর ওই রঙ্গারেড্ডি জেলারই ইব্রাহিমপত্তনমে অনলাইন বেটিং চক্রের ফাঁদে পড়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন টি লিঙ্গম নামে আরও এক যুবক। তাঁর বয়স ২৫ বছর। পুলিশ জানিয়েছিল, বন্ধুদের থেকে টাকা ধার করে শোধ দিতে পারেননি। তাই চরম পদক্ষেপ করেছিলেন তিনি।