(বাঁ দিকে) উদ্ধব ঠাকরে এবং রাজ ঠাকরে। —ফাইল চিত্র।
জয়ী হয়েছে বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্দে)-এনসিপি (অজিত পওয়ার)-র জোট। খুবই খারাপ ফল হয়েছে শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে)-এনসিপি (শরদ পওয়ার)-কংগ্রেস জোটের। আরও খারাপ ফল রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস)। কিন্তু ভোটের বিশ্লেষণ বলছে, অন্তত মুম্বইয়ের আসনগুলি ধরে রাখতে উদ্ধব সেনাকে সাহায্য করেছে রাজ ঠাকরের দলই।
রাজনীতিকেরা জানাচ্ছেন, উদ্ধব সেনা যে ২০টি আসনে জয়ী হয়েছে সেগুলির মধ্যে ১০টিতে তাদের জয়ের ব্যবধানের চেয়ে এমএনএস প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা বেশি। রাজনীতিকদের মতে, ওই ভোট রাজ ঠাকরের ঝুলিতে যাওয়ায় জেতা সহজ হয়েছে উদ্ধব সেনার। কারণ, ওই ১০টি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। সেগুলির মধ্যে ৮টি মুম্বইয়ে। ফলে অন্তত মুম্বইয়ে এখনও রাজনৈতিক ভাবে প্রাসঙ্গিক উদ্ধব সেনা।
রাজনীতিকদের মতে, এই আসনগুলি হল মাহিম, ওরলি, ভিখরোলি, যোগেশ্বরী পূর্ব, ডায়াডোচি, ভারসোভা, কালিনা, ভান্দ্রে পূর্ব, ওয়ানি ও গুহাগার। এগুলির মধ্যে মাহিমে এমএনএস প্রার্থী ছিলেন রাজ ঠাকরের ছেলে অমিত। তিনি ৩৩,০৬২ ভোট পেয়েছেন। উদ্ধব সেনার প্রার্থী মহেশ সাওয়ন্ত আসনটি জিতেছেন ১,৩১৬ ভোটে। ওরলিতে এমএনএসের প্রার্থী সন্দীপ দেশপাণ্ডে পেয়েছেন ১৯,৩৬৭টি ভোট। সেখানে উদ্ধব সেনার প্রার্থী ও উদ্ধব-পুত্র আদিত্য শিন্দে সেনার মিলিন্দ দেওরাকে হারিয়েছেন ৮,৮০১ ভোটে।
ভিখরোলি কেন্দ্রে এমএনএস প্রার্থী পেয়েছেন ১৬,৮১৩টি ভোট। সেখানে উদ্ধব সেনা জিতেছে ১৫,৫২৬ ভোটে। একই চিত্র বাকি সাত কেন্দ্রেও। শিন্দে সেনা তথা শিবসেনার সাবেক ভোটব্যাঙ্কের একাংশ রাজের দলকে সমর্থন করেছেন বলে মত রাজনীতিকদের। ফলে লাভ হয়েছেউদ্ধবের।