হিমাচলে ভোটের প্রচারে সনিয়া। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।
হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটে প্রচারের শেষ দিনে বাড়ি বাড়ি ঘুরে কংগ্রেস প্রার্থীদের জয়ী করার আবেদন জানালেন প্রিয়ঙ্কা বঢরা গান্ধী। বৃহস্পতিবার সে রাজ্যের ৬৮টি বিধানসভা কেন্দ্রেই ‘বিজয় আশীর্বাদ র্যালি’ করে কংগ্রেস। শিমলা এবং সিরমৌরে কংগ্রেসের সেই প্রচারে যোগ দেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁর কর্মসূচিতে ভিড় হয়েছিল নজর কাড়ার মতো।
কংগ্রেস নেতাদের দাবি, পালাবদলের ঢেউয়ে ভর করে এ বার বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার রাজ্যে তাঁরা ক্ষমতা দখল করবেন। ভোটের প্রচারে হিমাচলে গিয়ে দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘বিজেপি আর হিমাচলের মানুষকে বোকা বানাতে পারবে না।’’ কয়েক দশক ধরেই হিমাচলে ক্ষমতার পালাবদলের রাজনৈতিক ধারা রয়েছে। অবশ্য বিজেপির দাবি, দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক প্রবণতা অতিক্রম করে এ বার সেখানে ক্ষমতায় ফিরবে তারা। বুধবার কাংড়া এবং সুজানপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় বিপুল ভিড় ‘ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিতবাহী’ বলেই পদ্ম-শিবিরের দাবি।
আগামী শনিবার (১২ নভেম্বর) এক দফাতেই হিমাচলের ৬৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। গণনা ডিসেম্বরের ৮ তারিখ। ২০১৭-য় কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটিয়ে শিমলার কুর্সি দখল করেছিল নড্ডার দল। বিজেপি ৪৪ এবং কংগ্রেস ২১টি আসনে জিতেছিল। সিপিএম ১ এবং নির্দল প্রার্থীরা ২টি বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন সে সময়। যদিও বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমল ভোটে হারায় জয়রাম ঠাকুর কুর্সিতে বসেছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম এ বার তাঁর পুরনো কেন্দ্র সেরাজ থেকেই লড়বেন। ওই কেন্দ্রে ২০১২ এবং ২০১৭-য় জিতেছিলেন তিনি। প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুখরামের ছেলে অনিল শর্মাকেও তাঁর পুরনো কেন্দ্র মন্ডীতে প্রার্থী করা হয়েছে। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সতপাল সিংহ সাত্তিকে প্রার্থী করা হয়েছে উনা আসনে। অন্য দিকে, বিরোধী দলনেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রীকে হারোলি আসনে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। তিন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুখবিন্দর সিংহ সুখু (নদুয়ান), কুলদীপ সিংহ রাঠৌর (থিয়োগ) এবং কল সিংহ ঠাকুরের (দারং) নাম রয়েছে তালিকায়। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহ এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী প্রতিভার ছেলে বিক্রমাদিত্য লড়বেন শিমলা (গ্রামীণ) কেন্দ্রে।