মহারাষ্ট্রে বন্যা পরিস্থিতি। ছবি: পিটিআই।
নাগাড়ে বৃষ্টিতে মহারাষ্ট্রের পুণে, নাসিক-সহ একাধিক এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে বেড়েছে গিরনা নদীর জলস্তর। বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে নাসিকের মালেগাঁওতে আটকে পড়ছেন ১২ জন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও দমকলের বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে পাঠানো হয়েছে তাঁদের উদ্ধারের জন্য। শেষ ৪৮ ঘণ্টায় নাসিকে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে চাপ বেড়েছে গঙ্গাপুর জলাধারেও। রবিবার রাতে ৮৬ শতাংশ পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল জলাধার। যে কারণ রাতেই জল ছাড়তে হয়েছে গঙ্গাপুর জলাধার থেকে।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মহারাষ্ট্রে একাধিক নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে। জলস্তর বেড়েছে গোদাবরী নদীতেও। নাসিকে রবিবার গোদাবরীর পার থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন ২৯ বছর বয়সি এক তরুণ। নদীর তীর থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে একাধিক দোকান। এই দুর্যোগের সময়ে নদীর ধারে যাতে কেউ না যান, সে জন্য এলাকাবাসীদের সতর্ক করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
পুণেতেও বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার নিতে শুরু করেছে। পুণের একতা নগর-সহ একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বাড়ির ভিতর জল ঢুকে গিয়েছে। জলমগ্ন এলাকাগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। চলছে উদ্ধার অভিযান। দুর্যোগপূর্ণ এলাকাগুলিতে উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য ডাকা হয়েছে সেনাবাহিনীকেও।
ভারী বৃষ্টির কারণে রাস্তায় দৃশ্যমানতাও কমে গিয়েছে। বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। মহারাষ্ট্রের পালগড়ে চারটি বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃষ্টির মধ্যে জোরে বাইক ছুটছিল। সে কারণেই দুর্ঘটনা। পালগড়ের ওই দুর্ঘটনায় সাত জন আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার পুণেতে জলমগ্ন এলাকাগুলি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের।