হরিয়ানায় যুবককে নিগ্রহের অভিযোগ সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
হরিয়ানার এক মহকুমাশাসকের বিরুদ্ধে যুবকের শ্লীলতাহানির অভিযোগ। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই যুবক। অভিযোগের সপক্ষে ভিডিয়ো ফুটেজও দেখিয়েছেন তিনি। তার পরেই মহকুমাশাসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
অভিযুক্ত হরিয়ানার সিভিল সার্ভিস অফিসার। তিনি হিসারের মহকুমাশাসক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর দফতরে এক যুবক মালিশ করে দেওয়ার জন্য আসতেন। তিনিই মহকুমাশাসকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পর চণ্ডীগড়ে মুখ্যসচিবের দফতরে তলব করা হয়েছে মহকুমাশাসককে। সেখানেই আপাতত থাকতে হবে তাঁকে। মুখ্যসচিবের অনুমতি না নিয়ে তিনি সদর দফতর ছাড়তে পারবেন না। নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে হরিয়ানা সরকার।
আধিকারিককে কেন সাসপেন্ড করা হল, সরকারের নির্দেশিকায় তার কোনও নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে ওই নির্যাতিত কর্মী অভিযোগ জানিয়েছেন প্রকাশ্যেই। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে পিওন হিসাবে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। উনি মালিশের জন্য আমাকে ডাকতেন। তার পর ভুলভাল কাজ করতেন আমার সঙ্গে। আমি বাধা দিলে বন্দুক দেখাতেন। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতেন। চাকরিও কেড়ে নেওয়ার কথা বলেছেন একাধিক বার। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আমার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। কিন্তু এই কথা আমি কাউকে বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না। তাই এক দিন ভিডিয়ো রেকর্ড করি। তার পর প্রমাণ-সহ অভিযোগ জানাই।’’
গত ছ’মাস ধরে এই ঘটনা ঘটে চলেছে বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিত কর্মচারী। মহকুমাশাসকের বিরুদ্ধে তিনি জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন। দফতরের উপরমহলেও ভিডিয়ো-সহ অভিযোগ জমা পড়েছে। যুবক জানিয়েছেন, তিনি ওই ভিডিয়োটি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এবং পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছেও পাঠিয়েছেন।